রোববার পদ্মাসেতুর ৩২তম স্প্যান বসবে
1 min readসীমান্ত ডেস্ক :: তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান খুঁটিতে স্থাপন করা যায়নি। রবিবার সকালে আবার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এর আগে দীর্ঘ ৪ মাস পর শনিবার সকাল থেকে পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া চলছিল। স্প্যানটি বসানো মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর পিয়ারে উপর বসার কথা ছিল। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ‘ওয়ান ডি’ নামের ৩২তম স্প্যানটি বসানোর জন্য মাওয়ার ৫ নম্বর খুঁটির কাছে আনার চেষ্টা চলছিল সকাল থেকে। কিন্তু ভাটার স্রোতের কারণে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছিল না। পরে দুপুর ২টার পর জোয়ারের সময় স্প্যানটি নিয়ে ভাসমান জাহাজ ৫ নম্বর খুঁটির কাছে পৌঁছায়। খুঁটির কাছে পৌঁছালেও স্প্যান স্থাপনের জন্য ক্র্যানবাহী ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান ই’ যথাযথ স্থানে অ্যাংকর করতে পারেনি। এদিকে আলো কমতে থাকায় বিকাল পৌঁনে ৫টার দিকে স্প্যান স্থাপন কাজ স্থগিত করা হয়েছে।
এসব তথ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, রবিবার সকাল থেকে আবার স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি জানান, ভাসমান ক্র্যানবাহী জাহাজটি যথাযথ স্থানে স্রোতের কারণে আসতেই পারছিল না। কারণ এটি যথাযথ স্থানে পজিশনিং করে নোঙ্গর করা হয়। এরপর ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে খুঁটির উপরে তুলে বসিয়ে দেয়া হয়।
গত ১০ জুন সেতুর ৩১তম স্প্যানটি স্থাপন হয়েছিল। পরবর্তীতে ২৪ জুন বসানোর কথা ছিল ৩২তম স্প্যান। এরপর বন্যায় দীর্ঘ সময় ধরে পদ্মায় পানি বেশি এবং প্রবল স্রোতের কারণে স্প্যান স্থাপন করা যাচ্ছিল না।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন লোড নিতে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’।