নিজেকে দিচ্ছি ধিক্কার
1 min read
[কাকলী আক্তার মৌ]
চিৎকার করে কাঁদিতে গিয়াও দিতে পারি না চিৎকার,
নারী হয়ে তাই জন্ম নিয়ে ভাই,নিজেকে দিচ্ছি ধিক্কার।
ভোগের পণ্য বানিয়ে পশুরা,করে চলেছে ফুর্তি,
কাঁদিতে কাঁদিতে হয়ে গেছি তাই,শোকের শীলা মূর্তি।
অশ্রু শুকিয়ে বোবা হয়েছি,কথা ফুঁটে না আর মুখে,
খুবলে খাওয়া পশুর আঘাতে,চিতা জ্বলে মোর বুকে।
কাঁদিতে গিয়াও চিৎকার নাহি,দিতে পারি জন-লোকে,
বোবা চাহনি সম্বলে তাই;করুণ অশ্রু মোর চোখে।
চিৎকার করে কাঁদিতে গিয়াও দিতে পারি না চিৎকার,
নারী হয়ে তাই জন্ম নিয়ে ভাই,নিজেকে দিচ্ছি ধিক্কার।
দ্বীন বলেছে রহমত নারী,জান্নাত পদ তলে,
লুলুপ চাহনি ভাইয়েরা দিচ্ছে,নোংরা কথার বুলে।
কোথায় আমি বিলীন হইব,জায়গা খোঁজে না পাই,
নারী হয়ে তাই জন্ম নিয়া;ডুকরে কাঁদি আজ ভাই।
মনের ব্যথা মনেতে চাপিয়া,আজি নিঃশেষ হয়ে যাই,
ভাইয়ে দাড়িয়ে তামাশা দেখে,কূল-কিনারা না পাই।
চিৎকার করে কাঁদিতে গিয়াও দিতে পারি না চিৎকার,
নারী হয়ে তাই জন্ম নিয়ে ভাই,নিজেকে দিচ্ছি ধিক্কার।
আর কত বোন মান হারালে,জাগিবে ভাই মোর ভবে,
নোংরা পশুর টুটি ছিড়িয়া ডাংগুলি খেলিবে সবে।
আমি কি তবে কাঁদিতে কাঁদিতে,বিলীন হইয়া যাইবো,
ভাইয়ের মায়া মমতা কি;কভু নাহি আর পাইবো?
মান হারিয়ে চাহিয়া দেখি;কেউ নাই মোর পাশে,
চিৎকার করে কাঁদিতে কাঁদিতে,শব্দ নাহি তাই আসে।
তাই,চিৎকার করে কাঁদিতে গিয়াও দিতে পারি না চিৎকার,
নারী হয়ে তাই জন্ম নিয়ে ভাই,নিজেকেই দিচ্ছি ধিক্কার।
ঘুমন্ত কবি,নির্বাক ছবি।
Kakoli Akther Mou