‘ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইন প্রণয়ন করতে হবে’
1 min readসিলেট :: দেশে মহামারীর চেয়েও ভয়ংকর রূপে ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষণ। শিক্ষাঙ্গন থেকে নিয়ে বস্তি এলাকায়ও যেন ধর্ষকদের অভয়ারণ্য। একক ধর্ষণের পাশাপাশি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগত হারে। ধর্ষকদের পাশবিকতা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা শিশু থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধা, এমনকি বুদ্ধি প্রতিবন্ধীরাও। অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে একটি শ্রেণি কুরুচিপূর্ণ মানুষ। এসব কর্মকান্ডে দেশের সব জায়গায় নারীদের শ্লীলতাহানী, ধর্ষণ আর নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। জনগণ মানববন্ধন আর প্রতিবাদ চায় না, জনগণ ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেখতে চায়। ধর্ষণ ও নারী নির্যতানের যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা চোঁখে পড়ার মত এবং তাদের নিষ্ক্রিয়তায় ধর্ষক বাহিনী গড়ে উঠেছে। এদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এবং সিলেটের এমসি কলেজসহ দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণের প্রতিবাদে সামাজিক সংগঠন প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান (রঃ) প্রজন্মের উদ্যোগে আয়োজিত ধিক্কার মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের আহবায়ক ও জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সামীউর রহমান মুসা সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নগরীর তালতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কোর্ট পয়েন্টে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
মাওলানা ফাহাদ আমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- প্রাক্তন ছাত্র ও জামেয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ, মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা মুশফিকুর রহমান মামুন, আব্দুর রহমান ইউসুফ, মাওলানা আমিন আহমদ রাজু, আব্বাস উদ্দিন জালালী, সেলিম আহমদ, আব্দুল খালিক, ইকরামুল হক জুনায়েদ, মাহফুজ হোসাইন প্রমুখ।
অব্যাহত গণধর্ষণের প্রতিবাদে প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান (রঃ) প্রজন্মের উদ্যোগে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৬ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ। ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ডের আইন প্রণয়নের দাবীতে গণসাক্ষর কর্মসূচি। ১৬ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ওলামা ও সুধীদের নিয়ে বৈঠক। ২১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাপক মতবিনিময় ও বৃহৎ আন্দোলন।