“বস্ত্রহীনে উলঙ্গ আমি”
1 min readহে আমার প্রিয় ভাই,
ধর্ষকের ফাঁসি চাই না আমি,তোমরা আমায় ফাঁসি দাও।
বারে বারে মরতে ভাল লাগে না তাই,
মেরে ফেল একবারেই।
বস্ত্রহীনে উলঙ্গ আমি
[কাকলী আক্তার মৌ]
সিলেটের নারী ধর্ষণ হয়নি;ধর্ষণ হয়েছি আমি,
সকল ভাইয়ের বোন হয়েও,হতে পারিনি দামি।
পর্দা করেও নিরাপদ নই,লাঞ্চিত হই তিলে,
আমার প্রিয় ভাইয়েরা আমায়,লালসায় খায় গিলে।
বিচার আমি কেমনে চাইবো;ভাই যে মোর দোষী,
তাহার হাতে মান হারিয়ে,চাই আজি মোর ফাঁসি।
তোমরা আমার কেমন ভাই;জানতে ইচ্ছে করে,
উন্মাদ হয়ে বিবস্ত্র করো,যৌনাঙ্গে আঘাতে মোরে।
তোমরা তো ভাই,আমার মায়ের;গর্ভ থেকেই এলে,
তবে কেন ভাই;আপন বোনের ইজ্জত খাও গিলে?
লাজ সরম কি হারিয়ে গেছে,নাকি আছে বাকি,
বোনের ইজ্জত হরণ করে;মুখ রাখো না ঢাকি?
ভয় পেও না,বিচার আমি চাইলেও পাব না’কো,
বোনের ইজ্জত হরণ করে;তুমিই বেঁচে থাকো।
কেঁদে কেঁদে বলছি মাগো,আমার মা জননী,
সম্মান যদি হারাতেই হবে,কেন দেখালে ধরনী?
তোমার ছেলে হিংস্র হায়েনা,খেল খুবলে ছিড়ে,
তবুও আমি দোষী আজি,জগত সংসার নীড়ে।
কেন মাগো আলো দেখালে,মারনি কেন গর্ভে?
ধিক্কার জানাই তোমায় মাগো,মেয়ে জাতি সর্বে।
তোমার ছেলে নিয়ে মাগো তুমিই থাক সুখে,
মান হারিয়ে চিতার অগ্নি জ্বলুক আমারি বুকে।
বিবস্ত্র আর ধর্ষণটা যে,আমি হইনি মাগো,
তুমি ও তো নারী মাগো;জাগো এখনি জাগো।
এমনি হিংস্র হায়েনার দল,তুমি জন্ম দিলে,
নারী যখন পাবে না ভবে,তোমায় খাবে গিলে।
সেই দিনটা বেশি দূরে নয়,অতি অতি কাছে,
হিংস্র পশুর লুলুপ দৃষ্টি তোমার পানেও আছে।
দোহাই তোমায় একটু মাগো,একটু কর দয়া,
জন্ম দিয়ে আমায় ভবে;বাড়িও না আর মায়া।
নারী হয়ে আসতে চাই না;কভুও মাগো গর্ভে,
এই কামনা,কেঁদে করে যাই,মেয়ে শিশু সর্বে।
তোমার ছেলে নিয়ে মাগো তুমিই সুখে থাকো,
মান হারানো লাশটা মোর,যত্নে গোরে রেখো।
ঘুমন্ত কবি,নির্বাক ছবি
Kakoli Akther Mou