মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনছারীর ইন্তেকালে আল্লামা বাবুনগরীর শোক
1 min readহাটহাজারী প্রতিনিধি।।
দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নন্দিত ওয়ায়েজ,
বি-বাড়িয়া জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনছারীর ইন্তেকালে
গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
আজ ১৮ ই এপ্রিল শনিবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় আল্লামা বাবুনগরী বলেন,মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনছারী রহ. দেশের একজন প্রখ্যাত ওয়ায়েজ ছিলেন। সর্বমহলে তাঁর ওয়াজের সুখ্যাতি ও সুনাম ছিলো। তিনি অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ও বিনয়ী মানুষ ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে ওয়াজের অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কভু পূরণ হবার নয়। ইতিহাস তার অমর কীর্তি চিরকাল স্মরণ রাখবে।আমি তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত।
স্মৃতিচারণ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন,মাওলানা জোবায়ে আহমদ আনছারী রহ. এর সাথে হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালের নাস্তিক- মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনে শাপলা চত্বরে সর্ব প্রথম আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। শাপলা চত্বরে তিনি বক্তব্যও রেখেছিলেন।
এরপরও আরো বহুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। গত ১৯ মার্চ তাঁর মাদরাসার খতমে বোখারীতে সর্বশেষ সাক্ষাৎ ও আলাপচারিতা হয়েছিলো।
হেফাজত মহাসচিব বলেন,মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনছারী রহ. দরস-তাদরীসের পাশাপাশি পুরো জীবন মুসলিম উম্মাহর ঈমান-আকিদা রক্ষায় ওয়াজ-নসিহত সহ দ্বীনের বহুমুখী খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। বিশেষ করে ওয়াজের ময়দানে যে বিশাল খিদমাত তিনি করে গেছেন তা যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান প্রভুর দরবারে আমি দুআ করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন,এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাকে আল্লাহ তায়া’লা কিয়ামত জারি রাখুন, আমিন।