ছাতকের বিভিন্ন সড়কপথে বেড়ীবাঁধ,এলাকাবাসীর উদ্যোগে লকডাউন ঘোষণা
1 min readএইচ এম জিয়াউর রহমান : গতকাল (১৬) এপ্রিল বৃহস্পতিবার ছাতক সরকারী মডিকেল হাসপাতালে করোনা সন্দেহাতীত এক ব্যক্তির সংবাদ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক সংবাদটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে এক নব আতঙ্কের দেখা দেয়। জানা গেছে করোনা সন্দেহাতীত ঐ ব্যক্তি ঢাকা ফেরত এবং গত কয়েকদিন যাবৎ তিনি তার বোনের বাড়ী উপজেলার ২নং নোয়ারাই ইউ’পি’র অধিনস্থ জয়নগর গ্রামের অটো ড্রাইভার ফকির মিয়ার বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন। তার নিজ বাড়ী উপজেলার আমেরতৈল গ্রামে ।
হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার বেশ পরিবর্তন ঘটলে থাকে ছাতক সরকারী মেডিকেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা তার মাঝে করোনা লক্ষভেধ করে সন্দেহাতীতভাবে থাকে সিলেট শহীদ সামসুদ্দীন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি নিশ্চিত করার পর করোনা সন্দেহাতীত ব্যক্তি যে গ্রামে অবস্থান করছিলেন তা (জয়নগর) তাৎক্ষণিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়টি একই গ্রামের ইউ’পি সদস্য জনাব মঈনুল হক রাসেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। এবং আজ (১৭) এপ্রিল শুক্রবার (জয়নগর) গ্রামের প্রধান প্রবেশ পথগুলোতে বাঁশের বেড়ীবাঁধ প্রত্যক্ষ করা যায়। জানা যায় তারা পুরো গ্রামবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এছাড়াও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে বেড়ীবাঁধ প্রত্যক্ষ করা যায়। এমনকি সচেতনতা মূলক ২নং নোয়ারাই ইউ’পির প্রধান সড়কটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার অধিকাংশ পানিতে ভরপুর থাকায় ও অধিক ভাঙ্গার ফলে রাস্তা বন্ধের কারণ প্রথমে পরিষ্কার না হলেও পরবর্তীতে এলাকার লোকজন এবং ড্রাইভারদের কাছ থেকে এর সত্যতা জানা যায়। অবশ্য নোয়ারাই’র প্রধান সড়কপথ (জয়নগর) ব্যতিত অন্যান্য এলাকার লোকদের জন্য উন্মোক্ত ছিল। কেবল জয়নগরবাসীর জন্য কঠোরতা জারি করা হয়েছিল। সর্বোপরি,এলাকার লোকজন কোরোনা সন্দেহাতীত ঐ ব্যক্তির অবস্থান (জয়নগর) এবং সামাজিক দূরত্বতা বজায় রাখতে মূলত প্রবেশপথ গুলোতে বেড়ীবাঁধ দিয়েছেন বলে জানা যায়। সবশেষে করোনা সন্দেহাতীত ব্যক্তির ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত পজিটিভ কিছু জানা যায়নি। এমতাবস্থায় সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্বতা বজায় রেখে চলাফেরা করাই ভালো বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।