লোহাগড়া কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার
1 min readমোঃ নয়ন ইসলাম শুভ, নিজস্ব প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল এর ছেলে কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর আজাদ (২০) কে গ্রেপ্তার করে লোহাগড়া থানার কিছু চৌকস অফিসার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ (১৬ এপ্রিল)সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকার সময় কুখ্যাত মটোরসাইলেল চোর চক্রের মুল হোতা আজাদ (২০),পিং-রেজা ওরফে(রেজাউল)সাং-কচুবাড়িয়া,থানা-লোহাগড়া, জেলা-নড়াইল কে,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই মিলটন কুমার এর নেতৃত্বে এস আই এসআই আতিকুজ্জামান এবং তাদের সঙ্গীয় ও ফোর্সসহ একদল চৌকস অফিসার
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কচুবাড়িয়া এলাকা থেকে আজাদ কে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়,গত বছর জানুয়ারি থেকে,মে মাস পর্যন্ত আজাদের নেতৃত্বে,সাজ্জাদ,নাইম,আব্দুল্লাহ্ গন মিলে একটি মটোরসাইকেল চুরির সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।গত বছর মে মাসে লোহাগড়া উপজেলা থেকে একটি মটোরসাইকেল চুরি করে সাজ্জাদ,নাইম সহ আব্দুল্লাহ্ আটক হয় লোহাগড়া থানা পুলিশের হাতে,এর পরে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মটোরসাইকেল চোর চক্রটি নড়াইল,লোহাগড়া,গোলাপগঞ্জ ফরিদপুর,মাগুরা এলাকায় মটোরসাইকেল চুরি করে বোয়ালমারীর আলী রেজার কাছে বিত্রুয় করতো,এবং এদের সাথে মোহাম্মদ পুরের মনিরুল কাশিয়ানির লুলু সহ আন্তঃ জেলা মটোরসাইকেল চোর চক্রের অনেকেই জড়িত ছিল।
গ্রেফতার কৃত আসামীদের তথ্য মতে কিছু মটোরসাইকেল উদ্ধার হয় এবং সেই সময় থেকেই আজাদ পলাতক ছিল।
আজাদ সহ সবার নামে বিভিন্ন জেলায় প্রায় এক ডর্জন মটোরসাইকেল চুরি মামলা রুজু হয়।এই চক্রটি গ্রেফতারের পরে নড়াইলের লোহাগড়ায় কোন মটোরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেনি বলে যানা যায়।
আজাদ দীর্ঘ দিন পলাতক থেকে আবার এলাকায় এসে নতুন করে আবারও চোর চক্রের সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল,সাজ্জাদ এখনো ফরিদপুর জেলা কারাগারে আটক আছে।
আজাদ এর নামে লোহাগড়া থানায় চারটি মটর সাইকেল চুরি মামলা এবং দুটি ওয়ারেন্ট রয়েছে।উল্লেখ্য যে আজাদের বাবা একজন পেশাদার চোর এবং ইয়াবা খাদোক ও ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।তার নামেও লোহাগড়া থানায় গরু চুরির ওয়ারেন্ট বিদ্যমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার এসআই, মিলটন কুমার দেবদাস।