১৩ দিন গৃহবন্দী ব্যক্তিকে খাবারের ব্যবস্থা করলেন এসপি ফরিদ
1 min readজুবায়ের আহমদ :: ঢাকার বাড্ডায় ১৩ দিন থেকে গৃহবন্দি এক ব্যক্তিকে খাবারের ব্যবস্থা করে দিলেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। এ নিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার লুৎফুর রহমান ফেইসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস লিখেন। সাথে সাথে স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে যায়।
পাঠকরে সুবিধার্তে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশ পুলিশের কথা বলছি,
কথা বলছি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম স্যারের কথা। এভাবে কাউকে ভাবতে দেখি নি। স্যারের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুব বেশিদিনের নয়। অল্প সময়ে স্যার হয়ে উঠেছেন সিলেটবাসীর আস্থার প্রতীক। হাজারো ঘটনা রয়েছে তার মধ্যে একটি ঘটনা আজকে ফেসবুকে শেয়ার করতে ভীষণ ইচ্ছে করছে। স্যার এর অফিশিয়াল ফেসবুক মেসেঞ্জারটি স্যারের পক্ষে স্যারের অনুমতিক্রমে আমি ব্যবহার করি। বিভিন্ন সময় মানুষ বিভিন্ন সুখ-দুঃখের কথা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকেন। বেশিরভাগ সময় সেগুলো আমি স্যারকে অবহিত করি।
স্যার গত ১২.০৪.২০২০ খাদ্যসংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন বলে একটি ফোন নাম্বার দিয়ে অথবা মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করার জন্য ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে কল এবং মেসেঞ্জারে অনেকে এসএমএস করেন। সিলেট জেলা পুলিশের সদস্য হিসেবে মোবাইল কল এবং মেসেঞ্জারে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আমরা সাহায্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। এর মাঝে একজন ফেসবুকে ঢাকার একটি ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলেন তার ভাই ১৩ দিন যাবত গৃহবন্দী এবং তার কোন খাবার নেই । বিষয়টি যেহেতু ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকার তাই আমি এতটা গুরুত্ব দেইনি। স্যার যখন নামের তালিকা সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চান আমি সবকিছুই অবহিত করি। অনাগ্রহ বসত ঢাকার সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি অবহিত করি। স্যারের কথা হল ঢাকার মানুষ কি বাংলাদেশের মানুষ না। স্যার তাৎক্ষণিক ব্যাচমেট গুলশানের ডিসি সুদীপ স্যারের সাথে যোগাযোগ করে খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সিলেট জেলা পুলিশ সুপার স্যার এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, অসীম ধৈর্যশীল এবং ভীষণরকম পরোপকারী মানুষ। Covid-19 ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা মাঠে থেকে যে কাজ করছে এ যেন দায়িত্ববোধের সাথে সাথে মানুষকে ভালোবাসার এক অন্যরকম বহিঃপ্রকাশ।পুলিশের অনেক কাজ মানুষের জানার বাইরে থাকে, অনেক ভালো কাজ সামনে আসে না। Proud to be a member of Bangladesh police.