নারায়নগঞ্জ থেকে বিয়ানীবাজার ফেরত চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে
1 min readবিয়ানীবাজার প্রতিনিধি।।
করোনা ভাইরাস (কভিড নাইনটিন) সন্দেহে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ তাবলীগ কর্মীসহ ১০জনকে গত ১২ এপ্রিল থেকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজন এই রোগীদের করোনা স্যাম্পল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তারা হাসপাতালে আইসোলেশনের চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, নারায়নগঞ্জ থেকে বিয়ানীবাজারে ফেরত আসা এক চিকিৎসককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বিয়ানীবাজার প্রবাসী অধ্যূষিত এলাকা হওয়ায় করোনা ছড়ানোর ভয়ে গত একমাস পূর্বে চলে যান নারায়নগঞ্জে এবং নারায়নগঞ্জ করোনা ঝুকিপূর্ণ অবস্থা রুপ নেওয়ায় তিনি বিয়ানীবাজারে ফেরত চলে আসেন। এ নিয়ে অনেকেই ওই চিকিৎসককে ‘বসন্তের কোকিল’ বলে সম্ভোধন করছেন এবং বিয়ানীবাজারে অবাঞ্চিত করারও ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ডাঃ আবুল কালাম আজাদ নামে একজন ডাক্তার রয়েছেন, যিনি বিয়ানীবাজার পৌরশহরের মাতৃছায়া পলি ক্লিনিকে কাজে নিয়োজিত আছেন। পাশাপাশি মেডিএইড ডায়গনাস্টিক সেন্টারেও চেম্বার রয়েছে তার। তিনি বিয়ানীবাজার প্রবাসী অধ্যুষিত ভেবে পরিবার নিয়ে প্রায় মাস খানেক পূর্বে তাঁর গ্রামের বাড়ি নারায়নগঞ্জ চলে যান। এখন নারায়নগঞ্জে প্রচুর করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় তিনি স্বপরিবারে আবার বিয়ানীবাজারে ফিরে আসেন। যদিও স্বাস্থ্য প্রশাসন বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে আসতে নিষেধ করেছিলেন। এরপরও তিনি বিয়ানীবাজার এসে আবার চেম্বার শুরু করায় উদ্বেগ দেখা দেয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাঃ আবুল কালাম আজাদকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।