খাদ্য সামগ্রী নিয়ে রাজনীতি নয় আসুন নিজে বাঁচি অন্যকেও বাঁচান; এলডিপি নেতা সাইফুর রহমান
1 min readসেলিম চৌধুরী :: পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পটিয়া পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাইফুর রহমান বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে যখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর সচেতন করতে মানুষকে ঘরে থাকতে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন পাশাপাশি গরীব অসহায়দুঃখী দরিদ্রমেহনতীদিনমজুরকর্মহীনমানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে চেষ্টা ছালিয়ে যাচ্ছেন টিক সে মুহূর্তে পটিয়া সহ দেশব্যাপী সরকারি এাণ লুটপাট সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে পডেছে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলা খাদ্য সামগ্রী লুটপাট ধরা পড়েছে। আমি বলতে চাই এাণ নিয়ে রাজনীতি নয় পটিয়া খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে এটি কারো কাছে কাম্য নয়।
বিশেষ আমার পটিয়া পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড এলাকায় এাণ বা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে রাজনীতির আধিপত্য বিস্তার চেষ্টা ছালিয়ে যাচ্ছে। দেশের সংকটময় মুহূর্ত এ রাজনীতি বড্ড বেমানান আমার ব্যাক্তিগত অভিমত আর যারা সরকারি চাল নিয়ে চালবাজি করে লুটপাট করে তাদেরকে কঠোর আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। করোনা ভয়ে বিশ্ববাসীর ন্যায় আমরাও আতঙ্কিত। এতো দ্রুত সময়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার মতো শক্তিধর ভাইরাসজনিত রোগ এরপূর্বে দেখা যায়নি। বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের বিশেষজ্ঞগণ এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য রাত-দিন পরিশ্রম করছেন কিন্তু এখনো আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। যেহেতু এর ওষুধ এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে সেহেতু এ রোগ প্রতিরোধের প্রচেষ্টা-ই বুদ্ধিমানের কাজ।এর অংশ হিসেবে সরকার কর্তৃক বিগত ২৬ মার্চ হতে দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণাপূর্বক জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪ দফায় এছুটি আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধনপূর্বক সন্ধ্যা ৬টার পরে জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে গেলে শাস্তি এবং মসজিদে নামাজ আদায়ে সিমিত বিধি জারী করা হয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে জ্বর-সর্দি, হাঁচি-কাশি, গলাব্যথা বা শরীর ম্যাজম্যাজ করা স্বাভাবিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিধি সরকার বন্ধ ক্লিনিকসমূহের মালিক, চিকিৎসাসেবা দিতে অপারগতা প্রকাশকারী এবং ত্রাণচোরদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের স্বার্থে এ নিদের্শনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে খুব সহসা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। স্বউদ্যোগে কিছু বাড়ি-ঘর লকডাউন করা হলেও অধিকাংশ বিবেকহীনের আড্ডা দিতে বা সামান্য অজুহাতে ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করা যাচ্ছেনা। এ যে নিজের জীবন নিয়ে লুকোচুরি খেলা তা বুঝতেও যেন এরা ব্যর্থ। তাই যে কোন কিছুর বিনিময়ে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ঘরের বাইরে যাওয়া সামাজিকভাবে আমাদেরকেই প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ আমাদের ঘরের পাশে কারো দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া মানে আমাদের ঘর লকডাউন, আমাদের ভাইরাস পরীক্ষার আওতায় আসা, আমাদের মনের মধ্যে আতঙ্কের পরিমাণ জ্যামিতিকহারে বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যনীতি মেনে চললে নিজের মঙ্গলের পাশাপাশি দেশের আপামর জনগণেরও মঙ্গল হবে। তাই আসুন নিজে বাঁচি, অন্যকেও বাঁচাই, নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন, ঘরে থাকুন থাকুন, করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে শ্লোগান হোক আমাদের অযতাই পাড়ার সামনে আড্ডা মারা থেকে বিরত থাকি পাড়ার সকল সচেতন যুবসমাজকে এ কাজে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।