পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলা বন্ধ করুন; ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র
1 min read
এন এম সিকদারঃ- বাসায় থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
মহামারি করোনা ভাইরাস বিস্তার লাভ না করা/ছড়িয়ে না পড়ার জন্য সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশ সরকারও লকডাউন ঘোষণা করেছেন। লকডাউন যথাযথভাবে কার্যকরি করার জন্য প্রয়োজন সর্বসাধারণের সচেতনতা ও সহযোগিতা। রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা নাগরিক যেন সুস্থ ও নিরাপদে থাকে এবং মহামারি থেকে নিজেদেরকে সেভ করতে পারেন।
এই মহামারিতে লকডাউন যথাযথ কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকা, ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, লিপলেইট, মাইকিং সহ বিভিন্ন মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন।
লক ডাউন কার্যকরি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ পুলিশও জীবনের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
এ সবগুলো কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো করোনা মহামারির বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা এবং মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করা। নিজের, পরিবারের, সমাজের ও সর্বোপরি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
কিন্তু আপনারা “”জনসাধারণ”” কি করছেন!!
আপনারা আইন মানছেন না, রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত মানছেন না, অবাধে বিনা প্রয়োজনে রাস্তা ঘাটে, মাঠে, বাজারে, জনসমাগম এলাকায় ঘুরাফেরা করছেন। পার্কে আড্ডা দিচ্ছেন, বিনা প্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরছেন। একটা চা খাওয়ার জন্য বাহির হয়ে পড়ছেন, একটা সিগারেট টানা খুব জরুরি মনে করছেন, একটা পান খাওয়া ফরজ মনে করছেন। বাসায় ভালো লাগছে না, আর কতো?? আর কতো থাকা যায়, দ্যাত, বোরিং লাগছে, একটু বাহির হলে আর কি হবে??,। দ্যাত পুলিশ কি ২৪ ঘন্টা বসে আছে নাকি আমাদের ধরার জন্য??
ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর নাম নিয়ে বাহির হয়ে গেলেন রাস্তায়।সামনে পুলিশ….
ও মাই গড,কি হবে?? কি হবে??
একটা বুদ্ধিতো বাহির করতে হবে!!,
পুলিশতো হাজারটা প্রশ্ন করবেই?।
বাট, কি বলা যায়??, কি বলা যায়??।
পুলিশের প্রশ্নের জবাবে বলে দিলেন আত্নীয় মারা গেছে, আত্নীয় অসুস্থ, বাসায় রোগী আছে, ঔষধের জন্য যাচ্ছেন, আরো কতো কি তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন যৌক্তিক উপস্থাপন করে দিলেন। আবার অনেকে শারীরিকভাবে সুস্থ থেকেও হাত, পা, মুখ ব্যাকা করে প্রতিবন্ধির বেশ ধারণ করছেন। পুলিশ আপনার কথা/আচরণ বিশ্বাস করে মানবিকতার অগ্রাধিকার বিবেচনায় আপনাকে ছেড়ে দিলো। আর আপনি কি করলেন, পুলিশ কে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন একটু আড্ডাবাজি করতে বা বাহিরে যতো ততো ঘুরতে।
বাহ,, দারুনতো, আপনিতো পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলে জিতে গেলেন, পুলিশকে হারিয়ে দিলেন। চমৎকার বুদ্ধি আপনার। অসাধারণ প্রতিভার অধিকারি আপনি।
আপনি ভুল করছেন। আপনি পুলিশকে না, আপনি নিজে নিজেকে ঠকিছেন। আপনি আপনার পরিবার পরিজন, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ঠকিছেন। নিজের জীবনকে ঠকিছেন। পুলিশের সাথে প্রতারণা নয়, আপনি নিজের সাথে প্রতারণা করছেন, জাতির সাথে প্রতারণা করছেন।
সমাজে কিছু অসহায় হতদরিদ্র ব্যক্তি আছে। যারা দিন মজুর, দিনে আয় করে, দিনে খায়। তারাও ক্ষুধার যন্ত্রণায় পেটে একটু খাবার দেওয়ার জন্য, দুটো পয়সা আয় করার জন্য রাস্তায় বাহির হয়ে যাচ্ছে। হে বিত্তবান, হে পয়সাওয়ালা, টাকাওয়ালা। যার যতটুকু সমর্থ আছে – গরিব, অসহায়দের পাশে দাঁড়ান। তাদেরকে একটু বাঁচার সুযোগ করে দিন। কাল কেয়ামতের মাঠে এটা হয়তো আপনার নাযাতের উসিলাও হতে পারে। সমাজে আরও কিছু নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ আছে, যারা আত্ন সম্মানের কথা চিন্তা করে কারো কাছে সাহায্যের জন্য হাতপাততে পারে না। হে বিত্তবান। সব অর্থ সম্পদের হকদার কিন্তু আপনি একক না, আল্লাহর আইন অনুযায়ীও গরিব অসহায় আপনার সম্পদের উপর হকদার। প্লিজ, এই মহামারি বিপদকালে আপনি তাদের পাশে থাকুন। সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। নিম্ন-মধ্যবিত্ত দেরকেও সহায়তা করুন। বেঁচে থাকার জন্য তাদেরকে অন্নের ব্যবস্থা করে দিন। তাদেরকে বাসায় নিরাপদে থাকতে সহায়তা করুন।