তোমার স্মৃতির আঙ্গিনায় (পর্ব- ১) - Shimanterahban24
June 5, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

তোমার স্মৃতির আঙ্গিনায় (পর্ব- ১)

1 min read

[চৌধুরী ক্বায়নাত]

গত ৩০ মিনিট ধরে রাস্তায় দাড়িয়ে আছি। এখনো নবাবের আসার কোন খবর নেই। এভাবে রাস্তায় দাড়িয়ে রাখার কোন মানে হয় নাকি। আসুক আজকে…….. ( খুব রাগ হচ্ছে)

আরো ৫ মিনিট পরে তাকে কল করার জন্য ফোনটা হাতে নিয়েছি, তখন সামনে টি স্টলে চোখটা আটকে গেল। একজন যুবক পত্রিকা পড়ছে নাকি পত্রিকা দিয়ে নিজেকে আড়াল করছে সেটা দেখছিলাম। কেন জানি মনে হল ইরফান হবে। ওহ আমি যার জন্য অপেক্ষা করছি তার নাম ইরফান। আমার একমাত্র বয় ফ্রেন্ড।
এমন দুটানায় থেকে কি হবে? কিছু হবে না। তার চেয়ে বরং কল করি। যেই ভাবা সেই কাজ। একি রিং হতে না হতেই কেটে দিল!😈👹

দুর চলে যাবো আর অপেক্ষা করতে পারবো না।
লোক জন যেভাবে দেখে আছে। কি ভাবছে আল্লাহ জানে। পাশে একটা C.N.G ছিল লোকেশন বলে উঠপড়লাম। আমি উঠে মাত্র বসেছি, ঠিক তখনি কেউ একজন বলছে, একটু সরে বসো!!!
আমি মনে মনে বলছি : এই কন্ঠ তো আমার খুব পরিচিত। তুমি! তাহলে তোমার সময় হয়েছে আসার এতক্ষণে। ঘাড় ঘোরিয়ে দেখলাম, মুখে মিষ্টি একটুকরা হাসি নিয়ে উঠে পাশে বসছে।
আমি: মনে মনে হেসে দিলাম।

ইরফান: আস্সালামুআালাইকুম। চকলেট খুব রাগ করেছে বুঝি! (খুব ছোট করে বলছে)

আমি: চুপ করে শুনছি, আর মনে মনে বলছি, হুমমম আসছে এখন রাগ ভাঙ্গাবে! ঢং। মুখ বেকিয়ে দিলাম।
ইরফান আমার কাধে হাত দিয়ে ঝাকি দিলো।

ইরফান: কি হয়েছে? কথা বলছনা কেন? কিছু বল?
আচ্ছা তুমি কি কথা বলবেনা?
তুমি কি জান! এভাবে থাকলে তোমাকে খুব বাজে দেখায়। আর হ্যা চোখে কাজল দিয়েছ কেন? কালো নেকাবের সাথে কাজল পড়া চোখ দেখতো ডাইনী ডাইনী মনে হচ্ছে। (মুচকি হাসির সাথে কথা কয়টা বললো।)
আমার রাগ এখন চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে।
আমি: ওহ আচ্ছা এখন আমাকে ডাইনী মনে হচ্ছে। তাই না! আমি দেখতে খুব বাজে। আর নিজে যে লেট লতিফ সেটা কে বলবে শুনি! আমার মোডের বারটা বাজিয়ে এখন আবার এসব বলছ! লজ্জা করে না তোমার! নির্লজ্জ ছেলে নেমে যাও আমার গাড়ি থেকে।
ইরফান : কি! এটা তোমার গাড়ি, তোমার আব্বু আবার গাড়ি কিনেছে আগে বলবেনা!
আমি : একদম মজা করবা না। গাড়ি আমি ভাড়া করেছি তো আমারই হলো। এখন কথা না বারিয়ে নেমে পড়। (একটু আওয়াজ করেই বলেচি) মামা গাড়িটা এখানে দাড় করান ওনি নামবেন।

সে তো নামতে রাজি না। কারণ এই জায়গাটা একেবার নিরব, এখানে দাড়াতে দাড়াতে পা বেথা হয়ে যাবে তবে গাড়ি পাবে না।
কি হল নাম গাড়ি থেকে!
আমার বাম হাতটা তার ডান হাতের মুটোয় শক্ত করে ধরে রেখেছে।
ইরফান : আরে মিমি প্লিজ কি করছো এটা এখানে আমি গাড়ি পাবো না তো। (করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে কথা বলছে) হাত ছেড়ে নেমে গেলো।
আমি: না পেলে হেটে আসবে, আর হেটে আসতে না পারলে নাই। আমাকে কফি খাওয়ানোর কথা আজকে মত ভুলে যাও। বেচারা অসহায়ের মতো দাড়িয়ে আছে। খুব মায়া হচ্ছে তার জন্য কেন যে নামাতে গেলাম। এখন আসবে কি করে ওতো বশি হাটতে পারেনা। খুব চিন্তা হচ্ছে।
আমার পরিচয়টা বলি এখন, আমার নাম চৌধুরী ক্বায়নাত, একটু আগে আমাকে ইরফার মিমি বলে ডেকেছে আর ও এমন আরো অনেক নামেই আমাকে ডেকে থাকে। আমার ছোট দুটা ভাই আছে, আমি সবার বড়। আমি ইন্টার ফাইনাল দিব এবছর, যাই হোক! আমি আজকে অনেক খুশি, আমাদের ৫ বছরের রিলেশনশিপে আজকে প্রথম তার সাথে বাহিরে কোথাও যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.