গোয়াইনঘাটে খাদ্য সংকট; দুই মন্ত্রীর কাছে ত্রাণ সহায়তা চেয়ে চেয়ারম্যান ফারুকের আবেদন
1 min readমিনহাজ উদ্দীন :: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে ঘরবন্দি সিলেটের গোয়াইনঘাটের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে খাদ্য সংকট। নিম্ন আয়ের মানুষজন ছাড়াও এবার যুগ হয়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারও। কোথাও সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে ত্রান সহায়তা বিতরণের খবর পেলেই জড়ো হয় ত্রান প্রত্যাশি মানুষজন। গোয়াইনঘাটের ১০ টি ইউনিয়ন জুড়েই যেন চলছে মানবিক সংকট। খাবারের সংকটে চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে ১০ টি ইউনিয়নের ৩ লক্ষাধিক মানুষ। জনসাধারণের বিপরীতে সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রান,খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল।
পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী না থাকা ইউনিয়নে ঘরবন্ধি মানুষজনের যেন কষ্টের সীমা নেই। এ পর্যন্ত গোয়াইনঘাটের ১০টি ইউনিয়নের অসহায় ঘরবন্ধি মানুষের জন্য সরকারি ত্রান সহায়তা বরাদ্দ হয়েছে জি আর ৮৬ টন চাল, জরুরি শুকনা খাবার ৫০০ প্যাকেট ও উপজেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিলের খাদ্য সামগ্রী বাবত ১ লক্ষ টাকা। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহি অফিসার,সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারদের উপস্থিতিতে স্হানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘরবন্ধি মানুষের মধ্যে এসব ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলায় মোট জনসংখ্যার বিপরীতে সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী অপ্রতুল।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘরবন্দি মানুষের পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিবারেও খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। করোনা ভাইরাসের মহামারী শুরু হওয়ার আগেই ২ মাস পূর্ব হতে হঠাৎ করে সিলেটের গোয়াইনঘাটের দুটি পাথর কোয়ারী সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। যে কারণে লক্ষাধিক শ্রমিক,ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই অনেকটা বেকার এবং অমানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আসছিলেন। এরইমধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধ এবং এ থেকে উত্তোরণে গোয়াইনঘাট উপজেলা লকডাউন থাকায় ঘর বন্ধি হয়ে পড়া মানুষজন খাবার সংকটের মুখোমুখি হয় মানবতার জীবন যাপন শুরু করেছেন। এদিকে ঘরবন্ধি অসহায় মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা বরাদ্দে আজ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী স্থানীয় এমপি ইমরান আহমদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপিব রাবরে আবেদন করেছেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ। এ ব্যাপারে কথা হলে গোয়াইনঘাটের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদ জানান,গোয়াইনঘট জুড়ে চলছে খাবার সংকট,করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা ও আইন মেনে ঘর বন্ধি থাকা অসহায় মানুষজনের পরিবারে খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।উপজেলার মোট জনগোষ্ঠীর বিপরীতে সরকারের ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল হওয়াতে উপজেলা খাদ্য সংকট তীব্রতর হয়েছে। করোনা ভাইরাস সৃষ্ট দুর্ভোগের ২ মাস আগে থেকেই উপজেলার জাফলং বিছানকান্দি পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় আগে থেকেই শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বেকার থাকার কারণে মানবিক এ সংকট আরও বেশি হয়েছে।এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে সরকারের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ঘরবন্ধি মানুষগুলোর খাদ্য সংকট নিরসনে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী স্থানীয় এমপি ইমরান আহমদ এবং সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দ্রুত মানবিক খাদ্য সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছি। আশা করা যায় উভয় মন্ত্রীদ্বয় গোয়াইনঘাটের মানুষজনের অসহায়ত্ব বিবেচনা করে পর্যাপ্ত ত্রান,খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ দিবেন।