করোনার দোহাই দিয়ে কোন পথে হাঁটছে সরকার
1 min read[কে,এম আতিকুর রহমান কামালী]
পৃথিবী যখন Covid.19. এর কারণে নিস্তব্ধ ঠিক তখনই বাংলাদেশের কিছু মানুষ দেশের সম্পদ লুটপাটে মেতে উঠেছে,
৮মার্চ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত হয় বাংলাদেশে, এক মাসের অধিক দিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২১ জন মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জন।
অথচ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭লাখ ৮০ হাজার ৩১৫জন, মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮২৮ জন।
“যেখানে বিশ্বের ভি-আই-পি, দেশগুলো করোনার কারনে লাশের মিছিল বৈছে সেখানে বাংলাদেশে এতো গণবসতি হওয়া সত্যেও কেন এতো কম আক্রান্ত হবে? আর মৃত্যুর সংখ্যা তো প্রতিদিনই এরকম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
অতএব বাংলাদেশে কতটুক করোনা ভাইরাসে হানাদিছে তা আমার বোধ্যগম্য নয়।
“যেখানে করোনা মহামারি হাহাকার করছে পৃথিবী সেই করুন মুহূর্তে প্রবিত্র রজনীতেও নারী-শিশু ধর্ষণের নোংরাহাত থেকে বাঁচতে পারেনি অসহায় নারী-শিশু!
শুধু তাই নয় অসহায় হত দরিদ্রের জন্য যেসব ত্রাণসামগ্রী বরাদ্ধ হয়েছে সে সব আত্যসাধের জন্য একদল হিংস্র জানোয়ার মরিয়া উঠেছে, কতটুক সিংস্র নির্লজ্জ জাতি এরা আমার বলার অপেক্ষা থাকেনা।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে থাকার পরামর্শ মানতে গিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে চরম দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় বেড়ে গেছে ৬০ শতাংশ। ১৪ শতাংশ (দুই কোটি ৩৮ লাখ) মানুষের ঘরে কোনো খাবারই নেই।
সরকার মানুষের ঘরে খাবার দিতে অপারগ কারণ যারা লুটপাট করছে তারা সরকারের দলের লোক,
যার কারণে তেমন কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে না, আর এটাই তাদের জন্য স্বাভাবিক
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন ভেঙে সংঘর্ষে কয়েকশ মানুষ, পা কেটে জয় বাংলা, মিছিল করছে! তখন কোথায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী?
আমরা মসজিদে পাঁচজন নামাজ পড়তে হবে জুম্মা’র নামাজে দশজন থাকতে হবে, মনে পরল বীরমুজাহিদ মুফতি আমিনী রহ: এর ঐশীবাণীর কথা তিনি বলে গেছেন আর বেশীদিন নয় এই সরকারের আমলেই মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হবে।
বাস্তবেই তা হল, মুসল্লী বেশী হওয়ায় ইমাম সাহেবের হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে থানায় নেওয়া হয়।
ইমাম-মুওয়াজ্জিন-মুতাওয়াল্লী- ব্যাতীত বাকি দুইজন কে হবে তা নিয়ে দন্ধ সৃষ্টিহয় সংঘর্স থেকে বাঁচাতে মসজিদে তালা ঝুলানো হল!
“জাতিয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে কয়েক শত মুসল্লীদের ফিরিয়ে দিয়ে ২০ জনেরও অধিক মুসল্লী নামাজ নিয়ে তামাশা করছিল তখন কোথায় ছিল লকডাউন,
নির্ধারিত সময়ের ভিতরে বাজারে গেলেও তাদের উপরে লাটিচার্য করা হয়।
সন্ধা ৬টার পর বেড়হলেই জেল জরিমানা, তাহলে মুসল্লী মসজিদে যাবে কিভাবে?
এসব থেকে প্রতিয়মান হয়যে দেশকে অচল করার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
এই সুযোগে বঙ্গবন্ধুর অপূর্ণ স্বপ্ন “বাকশাল” বাস্থবায়ন করার চেস্টা করা হচ্ছে।
ও-জাতি সময় থাকতে সাবধান হও নতুবা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে যাবে।
বি:দ্র: রাস্ট্রদ্রুহীতা নয় জনগণকে সচেতন করাই মুখ্য উদ্দেশ্যসা
লেখক: ধারণ সম্পাদক- ছাত্র জমিয়ত সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক- আন্জুমানে তা’লিমুল কোরআন জগন্নাথপুর উপজেলা শাখা।