এক মায়ের উপদেশ (পর্ব- ৩)
1 min read[চৌধুরী ক্বায়নাত]
তিনি বলেন; তুমি যখন অন্যের জন্য দোয়া করবে, তখন তুমি তোমার জন্য দোয়া না করলেও তোমার জন্য মঙ্গল জনক কিছু হবে।কারণ তুমি তোমার নয় অন্যের চিন্তা করো। তোমার জন্য আল্লাহ চিন্তা করেন। এখানে তুমি উচিত কথা বলতে যাবে না। কারণ, এই পৃথিবীর মানুষ গুলো ঠিক ততক্ষণ পর্যন্তই তোমাকে আপন করে নিজের কাছে রাখবে। যতক্ষণ না তুমি কোন উচিত কথা বলবে। বরং তুমি দিয়ে যাও, কিন্তু ভুল করে ও কিছু চাইতে যেওনা।
আমি বললাম ;আমি কিছু কারো কাছে কেন চাইব!আমি আমার আপন জনদের কাছেই তো কিছু চাইতে পারি কিছু বলতে পারি।
তিনি বলেন;তোমার পক্ষে কখনো মানুষকে চেনা সম্ভব না ভালো মন্দ এমনও হতে পারে তোমার আপনদের মধ্যেও তোমার ক্ষতি করবে এমন লোক আছে। যা তুমি হয়তো সহজভাবে মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু বিশ্বাস কর এটাই বাস্তব।
আপনাদের মধ্যে কলহহ! এটাতো সৃষ্টির শুরু থেকে হয়ে আসছে। আর সৃষ্টি শেষ পর্যন্ত হতে থাকবে।আর দুর্বল মনের মানুষরা শয়তানের ধোকায় সব সময় চলে আসে। মনকে কখনো শয়তানের ফাঁদে পড়তে দিও না।
আমি বললাম ; তাহলে এরথেকে বাচার উপায়?
তিনি বলেন; হুম বলছি শুন’ কখনো নিজেকে নিয়ে অহংকার করবেনা। তাদের সাথে খুব ভালো হয়ে থাকবে। ভালো বা মন্দ কোন কিছু বলতে যাবে না। তাদের বিষয়ে কারো কাছে কিছুই বলবে না। যেমন তুমি তাদের সাথে আছ কি নাই এমন ভাবে থাকবে। নিজের কোন ইচ্ছা তাদের ওপর চাপিয়ে দিওনা। এতে তোমার ঘর শান্ত থাকবে। কখনো কারো কাছে কিছু আশা করবেনা, সে তোমার যেমনি আপন হোকনা কেন, তারপরেও নয়। এমনকি তোমার নিজের সন্তান হলেও নয়। তখন তুমি ভালো খুব ভালো থাকতে পারবে।
আমি বল্লাম ; এটা আবার কেমন কথা? এমন হয় নাকি?
তিনি বলেন; কেন হবে না! অবশ্যই হয়। মানুষ পারেনা এমন কিছুই নেই। তুমি তো মানুষ তুমিও পারবা।
তোমাকে মনুষ্যত্বের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। মনে রাখবে, মনুষ্যত্ব এমনিতে আসে না,এটা শিখতে হয়। জীবের উপর মানুষ শ্রেষ্ঠ হয়েছে তার মনুষ্যত্বের জন্য। নৈতিকতা থেকে মনুষ্যত্ব শিখতে পারাবে।
না হলে হিংস্র পশুর মতো খেয়ে দেয়ে পরের অনিষ্ট করে বেড়াতে হবে।
আমি বললাম ; কি করে সম্ভব এতো কিছু!
তিনি বলেন ; সব সময় নিজেকে একা মনে করবেনা, আমার সাথে, তোমার সাথে, এমনকি আমাদের সকলের সাথে দুটো করে ফেরেশতা আছে আর আল্লাহর দৃষ্টি আছে, যা সর্বোক্ষণ আমার কার্যকলাপ দেখছেন এবং হাশরের দিনের জন্য সংগ্রহীত রাখছেন।
আমি বললাম ; খুব ছোট করে উমম ম-ম সত্যি বলেছেন।
★এরপর ঐ সম্মানিতা “মা” আমাকে আর কি উপদেশ দিয়েছেন তা পরবর্তী অংশে জানতে পারবেন।