চট্টগ্রামের প্রায় তিন’শ বছরের প্রাচীন নিদর্শন ছুরুত বিবির মসজিদ ও দীঘি
1 min read
বিশেষ প্রতিনিধি, উখিয়া :: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স পেরিয়ে সামান্য দক্ষিণে গেলেই আমীর মোহাম্মদ চৌধুরীর বিশাল দীঘি, যার স্থানীয় নাম আমীর খাঁ দীঘি। এই দীঘির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ঐতিহাসিক ছুরুত বিবি মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন ছুরুত বিবির দীঘি। ছুরুত বিবি দীঘির পশ্চিমে, আমীর খাঁ দীঘির দক্ষিণে শেখ রাজার ভিটে নামে এক বসত ভিটের পরিচয় পাওয়া যায়।
এই শেখ রাজা সম্পর্কে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ সংগৃহীত জনশ্রুতিতে জানা যায়, ১৫৭৫ সালে দূর্ভিক্ষ ও মহামারিতে গৌড় রাজ্য ধ্বংসস্তুপে পরিণত হলে গৌড় রাজ্যের সেনাপতি শেখ মোহাম্মদ আদম গৌড়ী গৌড়রাজ্য ত্যাগ করে দেয়াঙ রাজ্যের অন্তর্গত শোলকাটা গ্রামে সপরিবারে বসতি স্হাপন করেন।
এ বংশের একজন জমিদার ছিলেন শেখ আমির মুহাম্মদ চৌধুরী।
রাখাইন মগ রাজত্বের সময় মাগন মুন্দার একজন বড় জমিদার ছিলেন। ১০৫১ মঘী সনের এক “একরারনামা ” মূলে জানা যায় আমীর মুহাম্মদ চৌধুরীর উপর জমিদারির ভার ছিল। এই আমীর মুহাম্মদ চৌধুরী ই আরাকান রাজসভার কবি আলাওল এর কন্যা ছুরুতবিবি বা শুক্কুর বিবিকে বিয়ে করেন। তাঁর নামেই এ ছুরুত বিবি মসজিদ নির্মাণ করেন। সঠিক দিন সাল জানা না গেলে ও মোগল আমলে চট্টগ্রামের নবাব অলিবেগ খাঁ ‘র শাসনামলে (১৭১৩-১৭১৮) এ মসজিদ নির্মিত।
গ্রামের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন ছুরত বিবি চৌধুরাণী জামে মসজিদ। শহীদ তিতুমীরের আস্তানা হিসেবে খ্যাত এ মসজিদ। এ মসজিদে জ্বিনের গায়েবি নামাজ ও আজান হতো। মসজিদের পার্শ্বে ছিল অসংখ্য গণকবর। সেসব গণকবরের পাশে বেদীতে লেখা আছে শহীদ মিনার। মসজিদটি আনোয়ারার জনগণের কাছে আকর্ষণীয়। দূর-দূরান্ত থেকে শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য মানুষের ঢল নামে।