ঘুমধুমে হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে ইউএনও’র সন্তুষ্টি প্রকাশ
1 min readনিজস্ব সংবাদদাতা।
করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সাধারণ ছুটিতে পুরো দেশ। নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র ঘরবন্দি মানুষের দিন কাটছে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায়। এমন সময়ে কোনো দুস্থ-দরিদ্ররা যেন অনাহারে না থাকে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
১১ এপ্রিল (শনিবার) সকাল সাড়ে ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী ও ভিজিডি চাল বিতরণ করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ, ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন, এ্যাডভোকেট তারিক আজিজ জামী, প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, আবছার কামাল, সচিব এরশাদুল হক, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার, ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ, শফিকুল ইসলাম, আনোয়ারা বেগম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান,তারেক হোসেন প্রমূখ।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, “করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে খেটে-খাওয়া মানুষ গুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে; গত কয়েকদিন অনেকের ঘরে খাবার নেই, যাদের খাবার নেই তাদের চিহ্নিত করে তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে আমরা সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আমি মনে করি মানুষের এই দু:সময়ে সকলেরই উচিত অসহায় হতদরিদ্রদের পাশে দাড়ানো এবং আমি সবসময় আমার এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব”।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, “করোনার কারণে ঘরবন্দি কোনো মানুষ যাতে অনাহারে না থাকে , সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। লকডাউন হয়ে গৃহবন্ধি হতদরিদ্র অসহায় সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
ইউএনও এ সময় সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন। খাদ্য সংকট দূর করতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন ।ইউএনও সবার উদ্দেশে বলেন, সীমান্তের দিকে খেয়াল রাখবেন মায়ানমার থেকে এবং জিরো পয়েন্টে অবস্থিত কোন রোহিঙ্গা যাতে প্রবেশ করে এলাকায় আসতে না পারে।সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। সবাই ঘরে ঘরে অবস্থান করবেন বিনা কারনে কেউ যত্রতত্র ঘুরাঘুরি করবেন না। ইউএনও ঘুমধুমে হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।