সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে প্রেরণ; প্রস্তুত রয়েছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট - Shimanterahban24
May 29, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে প্রেরণ; প্রস্তুত রয়েছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট

1 min read

বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেটঃ- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে করোনা ভাইরাস সনাক্ত’র জন্য ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত হোম-কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রায় ৩শ জনের ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ায় তারা আশংকামুক্ত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত তাবলিগ জামায়াতের শতাধিক মুসল্লির জৈন্তাপুর ত্যাগ।

প্রানঘাতি ভাইরাস করোনা সংত্রুমন রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৮ এপ্রিল বুধবার সকালে করোনা ভাইরাস সানাক্তকরণের জন্য জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ৬ এপ্রিল ১ জনের নমুনা পাঠানো হয়, মোট ৩ জনের মধ্যে এক জন গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিদেশ ফেরত যে কেউ হউক ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোম-কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এমন নির্দেশনায় জৈন্তাপুর উপজেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩শ লোক বিভিন্ন মেয়াদে নিজ নিজ বাসা-বাড়ীতে হোম-কোয়ারেন্টাইন করে অবস্থারত ছিল। তৎসময় থেকে ইতোপূর্বে উপজেলা প্রশাসন, জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ জনপ্রতিনিধিগণ নিয়মিত এসকল মানুষের তদারকি করেছেন। গতকাল পর্যন্ত এদের প্রত্যেকেরই ১৪ দিনের অধিক সময় পেরিয়ে গেছে, এতে সবাই শংকামুক্ত বলা চলে।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে অবস্থারত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত তাবলিগ জামায়াতের মুসল্লিদের পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় একত্রিত করে ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ১০টায় ২টি বাসে করে শতাধিক মুসল্লিকে বিদায় জানান।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় নির্দেশা হচ্ছে, ঘরে থাকুন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। কিন্তু কার কথা কে শুনে, এমন অবস্থা এখনো অনেক জায়গায় বিরাজ করছে। জৈন্তাপুর উপজেলায় সপ্তাহের হাটের দিন বুধবার। এ দিন নিয়মিতভাবে বাজার চলছে, কাচা বাজার, মুদি দোকান এবং ফার্মেসী ছাড়া অন্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক বন্ধ থাকার কথা থাকলে চায়ের দোকান, কাপড়ের দোকান সহ বেশ কয়েকটি অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা দেখা যায়। এমন অবস্থায় বুধবার সকাল ১১টায় হাটে প্রবেশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা পারভীন। এসময় তিনি হেন্ড মাইক হাতে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। এছাড়া বিভিন্ন দোকানীদের বিরেুদ্ধে ১৭টি মামলা এবং ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যদিকে করোনা আত্রুান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জৈন্তাপুর উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্যকপ্লেক্স’র নতুন ভবনের ৩য় তলায় ১০শয্যা বিশিষ্ট্য একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে রয়েছে ৭টি অক্সিজেন এবং ১৫০টি পিপি সহ ৪ জন স্বাস্থ্য কর্মী সার্বক্ষনিক নিয়োজিত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দশনা অনুযায়ী আমরা করোনা ভাইরাসের যাবতীয় উপসর্গ নির্ণয়ের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করছি। এ পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে যে ৩জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে তাদের কোন ফলাফল আমাদের হাতে আসেনি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.