সদরে জমিয়ত আল্লামা শায়খে ইমামবাড়ী রহ. এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় পবিত্র “খতমে কোরআন”
1 min readখলিফায়ে মাদানি শায়খে ইমামবাড়ী রহ. উপমহাদেশের অন্যতম হাদীস বিশারদ এবং বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ ও অনন্য এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে আদিষ্ট ছিলেন। জাতীর আধ্যাত্মিক এমন জাতীয় রাহবারের বিয়োগের সংবাদ পেয়ে দেশ-বিদেশে অনেকেই শোকাহত আজ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শোকের এ ছায়া আচ্ছন্ন করেছে অনেককেই। বিশেষ করে ‘জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’ ও তাঁর অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের কর্মীবৃন্দের হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
শায়খে ইমামববাড়ী রহ. এর জানাযার নামাজ আজ দুপুর ২ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় এই রাহবারের জানাযায় শরীক হতে দলমত নির্বিশেষ দেশের সর্বস্তরের মুসলিম জনতার ইচ্ছা এবং আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু আমরা সকলেই অবগত আছি,সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস যে প্রভাব ফেলেছে তার কবল থেকে বাংলাদেশ ও মুক্ত নয়। বাংলাদেশ সরকারসহ স্বদেশী উলাময়ে কেরাম ‘করোনাভাইরাস’প্রতিরোধে সচেতনতা অবলম্বন করতঃ জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশ এবং সামাজিক দূরত্বতা বজায় রেখে ঘরে অবস্থানের ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছেন। এমনকি ইতিমধ্যেই বাংলাদের বিভিন্ন শহর উপশহর লকডাউন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় যানবাহন চলাচল ও বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে আল্লামা ইমামবাড়ী রহ. এর জানাযায় শরীক হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বিভিন্ন প্রতিকুলতার দরুন জানাযায় শরীক হওয়া সম্ভব হয়ে উঠবে না অনেকের।
মৃতের জন্য কুরআন পাঠ করা এবং ক্ষমা
প্রার্থনা করা
আবু উসাইদ সায়িদী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,আমরা রাসুল সা. এর পাশে বসা ছিলাম।এমন সময় বনী সালিমা গোত্রের এক ব্যক্তি রাসুল সা. এর কাছে এসে বললো,হে আল্লাহর রাসুল!আমার মাতা-পিতার পূণ্য থেকে এমন কিছু কি অবশিষ্ট রয়েছে যা আমি তাঁদের জন্য উৎসর্গ করবো?
রাসুল সা. বললেন, হ্যা!তাদের জন্য দোআ করা,ক্ষমা প্রার্থনা করা,তাদের মৃত্যুর পর তাদের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা,সেইসব আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা যা তারা ব্যতীত অটুট রাখা হয় না এবং তাদের বন্ধ-বান্ধবকে সম্মান করা।
সুতরাং আমরা যারা শায়খ রহ.এর জানাযায় শরিক হতে পারবো না।তারা সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করতঃ পবিত্র “খতমে কোরআন”এবং অন্যন্য বিধিত পন্থায় সাওয়াব পৌঁছাই।আলহামদুলিল্লাহ,ছাতক উপজেলা ছাত্র জমিয়ত ইতিমধ্যে-ই এ মহৎ উদ্দ্যেগটি কার্যকর করতে যাচ্ছে। আমি মনে করি অন্তত আমরা যারা ছাত্র জমিয়তের কর্মী রয়েছি,বিভিন্ন শাখা দ্বায়িত্বশীল রয়েছি,আপনারা সবাই আমাদের প্রিয় রাহবার রহ. এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করতঃ এরকম উদ্দ্যেগ গ্রহন করুন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুণ। এবং শায়খে ইমামবাড়ী রহ. এর দরজাত বুলন্দ করুণ। আমিন!!
এইচ এম জিয়াউর রহমান
সাধারন সম্পাদক
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ,ছাতক উপজেলা।