গোয়াইনঘাটে ৭ দিনে ১০ ইউনিয়নে চাল ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ
1 min readআবু তালহা তোফায়েল :: বিশ্ব ব্যাপি করোনাভারইরাসের কারণে যারা গৃহে অবস্থান করছেন, বিশেষত কর্মহীন খেটে খাওয়া, কর্মজীবী ও শ্রমজীবি পরিবারের জন্য সরকারি মানবিক সহায়তা হিসেবে আজ সোমবার (০৬ এপ্রিল) আলীরগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় কর্মহীন প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এসব পরিবার সীমাহীন দু:খকষ্টে পড়ে যায়। এই খবর জানার পর গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ও ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফিয়া বেগম তাদের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়ান। বিগত ৬দিনে উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়নে চাল ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ফারুক আহমেদ। এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছও ঘরে বসে নেই৷ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে মাস্ক, সাবান, চাউল ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ ও মোছা. আফিয়া বেগম।
এসময় গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, সারা পৃথিবী জুড়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে অসহায় হতদরিদ্র মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে। এ অবস্থায় সামর্থবান বা বিত্তবানদের উচিত সকল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এক্ষেত্রে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। কেনন সকলেই মহান আল্লাহর সৃষ্টি।
নিজের, পরিবারের এবং সমাজের নিরাপত্তাবিধান সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাক্বাসিদুশ্ শারীয়াহ্ তথা শরীয়তের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সকলকে জানমাল রক্ষার অগ্রাধিকারের শর্ত পূরণে আমাদের সামাজিক ধর্মীয় নীতিমালা নির্ধারণ মেনে চলতে হবে। নফসজনিত ঠুনকো আবেগ নয়, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইসলামের মৌলিক দিক নির্দেশনাকে প্রয়োগ করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ এবং নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
দরিদ্র এবং অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী, পরিচিতজনের সহযোগিতায় সাধ্যমত এগিয়ে আসতে হবে। কোনো রকমের উম্মাদনা কিংবা প্ররোচণায় সহযোগিতা, সমর্থন থেকে বিরত থাকতে হবে। গৃহে অবস্থানকালীন সময় আত্মা, মেধা মনন এবং শরীরের জন্য গঠনমূলক কাজে নিবেদিত হতে হবে। ‘সবর’ এর সাথে সকলে মিলে এই দুর্যোগে সচেতন থেকে প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা পরম করুণাময় আল্লাহ্ সুবহানা ওয়া তায়ালার আশ্রয় গ্রহণ ব্যতিরেকে সৃষ্টিকূল উপায়হীন। আসুন আমরা এ অবস্থা হতে পরিত্রাণের জন্য পরম দয়ালু আল্লাহ্ তায়ালার শরণাপন্ন হই, আরো বেশি বেশি তওবা, ইস্তেগফার, ইবাদত, যিকিরে নিবেদিত হই।