করোনা শেষ পর্যন্ত পূণ্যভূমি হযরত শাহজালাল রহ. এর মাটিতে; বাসার পাশেই একজন সচেতন মানুষকে আক্রান্ত করেছে
1 min read[এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী]
আমাদের করণীয়.
সিলেটে লক ডাউন মানছেইনা মানুষ।
আমরা কত গাফিল, নিজের ভালোটুকুও বুঝিনা।
যেমন রাজপথ, তেমনি ছোট অলি- গলিতে মানুষ নিশ্চিন্তে ৫/৭ জন করে আড্ডা দিচ্ছে।
প্লিজ নিজে বাঁচুন, দেশ ও জাতিকে বাঁচান।
আজ বিকাল ৫ টার পর জরুরী দোকান পাট ছাড়া সব বন্ধের নির্দেশে ৫০/৬০ ভাগ মানুষ একটু সতর্ক হয়েছে।
এশার পর থেকে করোনা রোগীর খবর পাওয়ার পর জনমনে আতংক বিরাজ করছে। কিন্তু এই এক সপ্তাহে কতটুকু ক্ষতি হয়ে গেলো– হয়তোবা ৪/৫ দিন পর চোখে আঙ্গুল দিয়ে করোনা আমাদেরকে পানিশমেন্ট দিবে( আল্লাহ না করুক)।
তাই পাবলিকের সচেতনতার পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল জোরদার করা সময়ের দাবী।
কারণ আমাদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত দেশগুলোর মত মোটেই কাভারযোগ্য নয়। তাই আসুন, নিজে বাঁচলে দেশ বাঁচবে। সরকারকে সহযোগিতা করি।
আর প্রশাসনকেও আরেকটু এলার্ট হওয়া প্রয়োজন।
আজকের টিভির টকশো গুলো এমনকি নিউজ গুলোতেও বেশী প্রচারিত হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ৫ টি জিনিষ উঠে এসেছে।
১. মানুষ অসচেতন।
২. বিদেশ ফেরত যাত্রীদেরে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসাধু অফিসাররা নামে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে সুস্থ বলে গেইট পাশ দেয়া
৩. এবং বিদেশীরা কোয়ারেন্টাইন যথাযথ না মানা।
৪.গতকাল লাখো গার্মেন্টস শ্রমিককে ঢাকায় নিয়ে আসা।
৫. ত্রাণের নামে মানুষের ধাক্কাধাক্কি।।
সম্মানিত দেশবাসী, আর নয় গাফলতি,
আমাদের অবহেলায় পরবর্তিতে যেন আফসোস করতে না হয়।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, করোনা দিয়ে আমাদের শায়েস্তা করার জন্য যে আল্লাহ করোনা নামক গজব দিয়েছেন, কুন ফাইয়াকুনের মালিক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে আমরা তাওবা করে চোখের পানিকে মূল ঔষধ বানাই।