ঘুমধুমে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ব্রয়লার ব্যবসায়ীদের চরম আর্থিক ক্ষয় ক্ষতির আশংকা
1 min read
নিজস্ব প্রতিনিধি।।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকায় মের্সাস ফোর স্টার পোল্ট্রি এন্ড সেল সেন্টারের ব্যবসায়ীরা নোবেল করোনার পরিস্থিতিতে বয়লার মুরগী ব্যবসায় লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির আসংঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (৪ই মার্চ) সকাল বেলায় তুমব্রু এলাকার পোল্ট্রি ফার্ম ঘুরে দেখা যায় পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসায়ীরা নোবেল করোনার পরিস্থিতিতে মারাত্বক ক্ষয়ক্ষতির আসঙ্কায় দিনপার করছে।
মের্সাস ফোর স্টার পোলট্রি এন্ড সেলস সেন্টারের একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানাযায়,বৃহত্তম তুমব্রু এলাকায় ৩৫টা বয়লার ফার্ম আছে এসমস্ত বয়লার খামারে দৈনিক ৭০/৮০জন শ্রমিক কাজ করে সংসার চালায়। কিন্তূ বর্তমানে সারা বিশ্বে চলমান নোবেল করোনা ভাইরাসের কারনে ক্ষতির প্রভাব পড়েছে বয়লার ফার্ম ব্যবসায়ীদের মাঝেও।
তুমব্রু এলাকায় বয়লার ব্যবসায়ীরা প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যাত্রা করলেও এক সময় ভালোই চলছিল বয়লার ব্যবসা।গত মাসে সব বয়লার ফার্মে নতুন করে হাজার হাজার বাচ্ছা তুলেন ব্যবসায়ীরা কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সব ব্যবসায়ীরা লোকসানের আসঙ্কায় ভীতস্থ।
বর্তমান আতঙ্কিত করোনা ভাইরাসের কারনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা লকডাউন ঘোষনার পর থেকে ঘুমধুম-তুমব্রুতে চলমান সব ধরনের জানবাহন নিশিদ্ধ ঘোষনা করেছে প্রশাসন এর প্রভাব পড়েছে বয়লার ব্যবসাদের মাঝেও। এমতঅবস্থায় তুমব্রু বয়লার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫০/৫৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির আসঙ্কা প্রকাশ করছেন।
গেল ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিন প্রতিমূহূর্তে করোনা-আক্রান্ত রোগী ও সংক্রমিত এলাকা বেড়েই থাঃকছে।
নোভেল করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্র রোগ সৃষ্টি করে এমন এটি একটি নতুন ভাইরাস। (কোভিড-১৯),যা আগে কখনোও মানব দেহে পাওয়া যায়নি।করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাই।
তুমব্রু এলাকার এক বয়লার ব্যবসায়ী বলেন, সারা দেশের ন্যায় তুমব্রু গ্রামেও করোনা ভাইরাসের কারনে দোকান বন্ধ ঘোষনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন তাই আমরা মুরগীর দোকান খুলতে নাপারাই কোন ফার্ম থেকে মুরগী ক্রয় করছি সেহেতু ফার্ম ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে”।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষথেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলা হয়,সর্বস্থরের জনগণ নির্দিষ্ট সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে অতি জরুরী প্রয়োজন ব্যতিরেক কেউ ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়াও সকল ধরনের হোটেল, রেস্তূরা,রাজনৈতিক, সামাজিক,ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সভা, সমাবেশ, গণজামায়েত, সাপ্তাহিক হাট বাজার সহ শপিং মল বন্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।এতে করে চরম আর্থিক ভাবে ক্ষতির আসঙ্কা প্রকাশ করছে ঘুমধুমের তুমব্রু গ্রামের বয়লার মুরগী ব্যবসায়ী।
বয়লার ব্যবসায়ীদের মধ্যে, আব্দুল করিম,রশিদ আহাম্মদ,ইলিয়াছ ভুলু,নুরুল আলম,এই প্রতিবেদককে বলেন,আমরা অনেক আশা নিয়ে ফার্ম করেছি বিভিন্ন এনজিও আইএনজিও ও সংস্থা থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খামার করেছিলাম।বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে আমরা মুরগী বিক্রয় ও বাজারজাত করতে পারতেছিনা এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকসান হবে প্রায় ৫০/৫৫ লাক টাকা।