পটিয়ায় মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটির খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
1 min readসেলিম চৌধুরী, পটিয়াঃ– করোনা সংকট মোকাবেলায় মাইজভান্ডারি গাউছিয়া হক কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মহীন দরিদ্রমানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।এ মহা মারি করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে মানুষ যাতে ঘর থেকে বের না হয় সচেতন থেকে জীবন রক্ষা করা যায় তার ধারাবাহিকতায় পটিয়া পৌরসভা মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যেগে পুর্বের ঘোষণা পটিয়া উপজেলা পৌরসভা ও কর্ণফুলীতে তিন হাজার কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ এপ্রিল শুক্রবার সকালে গাজী কনভেনশন সেন্টারে সামনে সপ্তম জোন পটিয়া পৌরসভা শাখা দুঃস্হ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেম পটিয়ার পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, উপস্থিত ছিলেন পটিয়া সহকারী কমিশনার( ভূমি) ইনামুল হাসান, পটিয়া জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা ছাড়াও পটিয়ার সাংগঠনিক সমন্বয়কারী, ও পৌরসভার হক কমিটির কর্মকর্তা বৃন্দ হলেন
সম্বয়কারী যথাক্রমে মোহাম্মদ জাফরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, আলী আকবর সিখদার, সাইফুল ইসলাম সোহেল , কর্মকর্তা আবুল কালাম সওঃ,দৈনিক জনতা সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী সহ পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত।মানবসন্তানের জীবন, মাল এবং জীবিকার নিরাপত্তার সকল দুনিয়াবি উৎসকে নির্মুল করে দিতে উদ্যত। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা পরম করুণাময় আল্লাহ্ সুবহানা ওয়া তায়ালার আশ্রয় গ্রহন ব্যতিরেকে সৃষ্টিকূল উপায়হীন। আসুন আমরা এ অবস্থা হতে পরিত্রাণের জন্য পরম দয়ালু আল্লাহ্ তায়ালার শরণাপন্ন হই, আরো বেশি বেশি তওবা, ইস্তেগফার, ইবাদত, যিকিরে নিবেদিত হই।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও আজ কোভিড ১৯ মহামারীর ছোবলে। এই ভয়ানক বিপদ থেকে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে আমাদের আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক উভয়দিকের প্রতিকারের উদ্যোগ নিতে হবে সচেতন ভাবে। এ লক্ষ্যে আমাদের-তওবা ইস্তেগফার, আল্লাহর ছানা, রাসূলের (দরুদ) দরুদ, ইবাদাত বন্দেগীতে ব্রতী হতে হবে ব্যক্তিগতভাবে। মাক্বাসিদুশ্ শারীয়াহ্ তথা শরীয়তের উদ্দেশ্য অনুযায়ী জানমাল রক্ষার অগ্রাধিকারের শর্ত পূরনে আমাদের সামাজিক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের নীতিমালা নির্ধারণ মেনে চলতে হবে। নফসজনিত ঠুনকো আবেগ নয়, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইসলামের মৌলিক দিক নির্দেশনাকে প্রয়োগ করতে হবে।জনগণের নিরাপত্তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ এবং নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
নিজের, পরিবারের এবং সমাজের নিরাপত্তাবিধানে অগ্রণী হতে হবে। এমনকি অজ্ঞাতসারেও অপরের জানমালের জন্য ক্ষতিকর কর্মকান্ড থেকে সতর্কতার সাথে বিরত থাকতে হবে এবং অপরকে সচেতন করতে হবে।
দরিদ্র এবং অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী, পরিচিতজনের সহযোগিতায় সাধ্যমত এগিয়ে আসতে হবে। কোন রকমের উম্মাদনা কিংবা প্ররোচনায় সহযোগিতা, সমর্থন থেকে বিরত থাকতে হবে।গৃহ অবস্থানকালীন সময় আত্মা, মেধা মনন এবং শরীরের জন্য গঠনমূলক কাজে নিবেদিত হতে হবে। ‘সবর’এর সাথে সকলে মিলে এই দুর্যোগের মোকাবেলা করতে হবে।