ভাঙ্গুড়ায় সেনাসদস্যদের আগমনে হাট বন্ধ হলো
1 min readরাজিবুল করিম রোমিও, নিজস্ব প্রতিবেদক, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)।
পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ জনসমাগম হয় শরৎনগর হাটে। এই হাট বসে প্রতি সপ্তাহের শনি এবং বুধবার। এই হাটে এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার লোক আসে। করোনা ভাইরাসের জন্য জেলা প্রশাসন গত ২৪ মার্চ থেকে জেলার সর্বত্র হাট-বাজার সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করেন। নির্দেশ অমান্য করে বুধবার পৌর শহরে শরৎনগর হাট বসে। সকাল আটটার পর থেকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষ আসতে থাকে হাটে।
এ অবস্থায় পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদেরকে দোকান বন্ধ করতে এবং হাটে আগত জনগণকে দ্রুত হাট ত্যাগ করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বেচাকেনা চালিয়ে যেতে থাকেন।
পরে বিষয়টি পাবনা জেলা শহরে অবস্থানরত সেনা সদস্যদের জানানো হয়। দুপুর বারোটার দিকে সেনাসদস্যদের ভাঙ্গুড়ায় প্রবেশের খবর শরৎনগর হাটে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যবসায়ীরা দোকান গুটিয়ে পালিয়ে যায় এবং ক্রেতারাও দ্রুত বাজার ত্যাগ করে।
এই উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগমের চিত্র এমনই। অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা বাজারে, খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদিঘী ও চন্ডিপুর বাজারে, পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভেড়ামারা বাজারে, দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান বাজারে প্রতিদিনই জনসমাগম ঘটে।
খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর বাজারের বাসিন্দা মো: আবু মুছা ফকির দৈনিক কলম সৈনিক কে বলেন, বাজারে অযাথা জনসমাগম না করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন হতে বারবার নিষেধ করা স্বত্ত্বেও মানুষ বাজার মুখী হচ্ছেই।
এই বিষয়ে দৈনিক কলম সৈনিক কে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে অনেক চেষ্টা করেছি। ব্যবসায়ীদেরকে বুঝিয়ে কয়েক দিনের জন্য ব্যবসা বন্ধ রাখার চেষ্টা করেছি। করোনার বিস্তার হলে কী ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে? সে সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিটি মুহূর্ত রাজনীতিবিদদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি।
দৈনিক কলম সৈনিক কে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, হাট-বাজারে জনসমাগম ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তবে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এসব হাট-বাজার বন্ধ করে দিচ্ছে।