ত্রাণ পেতে হলে ভোট দিতে হবে; তথাকথিত জনৈক কমিশনার
1 min read
নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম :: গোটা বিশ্ব ও সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও করোনা ভাইরাসের কারণে দিনমজুর মানুষ এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের পরিবারে দেখা দিয়েছে খাবার সংকট। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারের করুণ অবস্থা। করোনা ভাইরাস সংক্রমনকে কেন্দ্র করে দেশের এ দূর্যোগময় মূহুর্তে গৃহবন্দী সময় কাটছে কোটি মানুষের। থেমে আছে জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা ব্যস্ত মানুষগুলোর সময়। এমন দুঃসময়ে সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন সমাজের নিম্নআয়ের দিনমজুর মানুষেরা।
তাই ত্রাণের নামে ভোট ডাকাতি করা শুরু করেছে কেউ।
উ
চট্টগ্রাম জেলার তুলাতলী, জামাই বাজার ১৯ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলর, বেশ কয়েকবছর থেকে তিনি এই এলাকার কমিশনার।
আজ ০২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে গিয়ে বলেন, ত্রাণ নিয়ে আসছি, বিতরণ করবো৷ তবে হ্যাঁ, ১টা শর্তে ত্রাণ সামগ্রী আপনাদের হাতে পৌঁছাবো; শর্ত ১টাই যে, নির্বাচনে ভোট কিন্তু আমাকেই দিতে হবে। ভোট দিলে ত্রাণ পাবে। এভাবে দরিদ্র পীড়িত অসহায়দের সামনে ত্রাণ দিয়ে একপর্যায়ে ব্লেকমেইল শুরু করেন তথাকথিত নির্বাচিত কমিশনার। সীমান্তের আহ্বানের প্রতিবেদককে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী এবিষয়ে তাকিদ দিয়ে তথ্য দিয়ে বলেন, “যে ব্যক্তি আমাকে ভোট দিবে শুধু ঐ ব্যক্তিকেই রিলিপ দিব। আর কেউকে নয়।”
এভাবেই সাহায্যের নামে জোরপূর্বক ভোট আদায় করেন জনৈক কমিশনার৷
আসলে ত্রাণ, চাউল, ডাল, তৈল, পেয়াজ, খাদ্যসামগ্রীসহ যা কিছু সহায়তার নামে আছে, এসব দিয়ে নিজের নির্বাচনী ভোট অন্যের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন জনৈক কমিশনার।
এসব বন্ধ করে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান। জনগণের ভালোবাসায় থাকো। এটাই জনপ্রতিনিধির নিয়ম। জোর করে ভোট নেওয়া যায়, নির্বাচিত হওয়া যায়, কিন্তু হৃদয়ের যে অধিকার, তা নেওয়া যায়না।