কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বসতবাড়ী ভাংচুর অভিযোগ গ্রামবাসির - Shimanterahban24
June 9, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বসতবাড়ী ভাংচুর অভিযোগ গ্রামবাসির

1 min read

উখিয়া প্রতিনিধি।।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বসতবাড়ী ভাংচুরসহ নানান অভিযোগ তুললেন স্থানীয় গ্রামবাসি।

বুধবার (১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টায় কুতুপালং বাজারে ওয়ার্ড যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

ক্ষতিগ্রস্থ মুফিজ উদ্দিন অভিযোগ করেন বলেন, কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ খলিলুর রহমান খান যোগদানের পর থেকে স্থানীয়রা বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর শিকার হয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার উক্ত সিআইসি ২৫০/৩০০জনের মতো রোহিঙ্গা নিয়ে আমার ৩০ বছরের বসতবাড়ী ভাংচুর করে ১৮০০ ইট, ৫০ ফুট কংক্রিট, গাছ-বাঁশসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকা মালামাল নিয়ে গেছে।

রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল উদ্দিন বলেন, সিআইসি যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। কথায় কথায় সরকারের বিরুদ্ধে বিষাদাগার করে থাকে। সরকার এবং রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অহরহর অভিযোগ রয়েছে আমাদের কাছে।

রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ক্যাম্প ইনচার্জ খলিলুর রহমান পাকিস্তান ভিত্তিক আল মারসি নামের একটি নিষিদ্ধ এনজিও রয়েছে। উক্ত এনজিওটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুতুপালং ক্যাম্প কমিটির সেক্রেটারী মোঃ ইউনুছ ও তার ভাই আবু তাহের। এনজিওটির ২২টি স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে ২২জন রোহিঙ্গা শিক্ষকতা করে। উক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত এনজিও সংস্থা থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেন সিআইসি।

ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বলেন, সিআইসি খলিলুর রহমান সাথে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আলেকিনের সাথে যোগসাজশ রয়েছে। প্রতি রাতে তাদের বাড়ীতে যাওয়া-আশা করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবু তাহের বলেন, স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ ৩০ বছরের সোহাদ্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করেছে এই সিআইসি। যেকোন সময় স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। সে আরো বলেন, অবিলম্বে ক্যাম্প ইনচার্জ প্রত্যাহার করা না হলে করোনার লকডাউনের পর সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

কুতুপালং ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল করিম বলেন, সিআইসি’র কাছের লোক হিসেবে রয়েছে হেড মাঝি মোঃ আমিন, ব্লক মাঝি মোস্তফা কামাল, হেড মাঝি মোঃ ফরিদ। তারা ক্যাম্প থেকে টাকা উত্তোলন করে সিআইসিকে দিয়ে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় যুবলীগ,ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.