পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সৈকতে ফুটেছে সাগরলতা - Shimanterahban24
June 5, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সৈকতে ফুটেছে সাগরলতা

1 min read

মোঃ সালাহউদ্দীন (বিশেষ প্রতিনিধি,কক্সবাজার)।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এখন পর্যটকশূন্য। একইসাথে সেখানে পা রাখতে পারছে না স্থানীয় লোকজনও। তাই নির্জনতার সুযোগে সাগরলতা নগ্ন সৈকতে ছড়িয়ে দিচ্ছে সবুজের জাল। আর এ জালে রাশি রাশি বালুরাশি আটকে সৃষ্টি হচ্ছে বালিয়াড়ি।

বার বার ঢেউ আছড়ে পড়ায় মাটির ক্ষয়রোধ এবং শুকনো উড়ন্ত বালুরাশিকে আটকে বড় বড় বালির পাহাড় বা বালিয়াড়ি তৈরির মূল কারিগর হল সাগরলতা। আর সাগরে ঝড়-তুফান বা ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসকে ঠেকিয়ে রাখে বলে বালিয়াড়িকে সৈকতের রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কিন্তু আমাদের পর্যটন শিল্পের কারণে দখল ও দূষণের শিকার হয়ে গত প্রায় ৩ দশকে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতের বড় বালিয়াড়িগুলো প্রায় হারিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে সমুদ্রতীর ভাঙনের শিকার হয়ে হাজার হাজার একর ভূমি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। আর সেই বিধ্বস্ত প্রকৃতি আপনাআপনি পুনর্গঠিত হচ্ছে করোনা নিষেধাজ্ঞার নির্জনতার সুযোগে।

কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মাত্র এক দশক আগেও সৈকতজুড়ে গোলাপি-অতিবেগুনি রঙের ফুলেভরা সৈকতে এক অন্যরকমের সৌন্দর্যময় পরিবেশ ছিল। সেই পরিবেশের কথা ভেবে শহরের অনেক বাসিন্দা ও পর্যটক এখন শুধুই আক্ষেপ করেন।

কিন্তু সেই সুযোগটিই এখন এনে দিয়েছে করোনা সতর্কতা। নির্জন সৈকতের বিভিন্ন স্পটে গিয়ে চোখে পড়ে আপন গতিতে প্রকৃতির পরিবেশগত পুনরুদ্ধারের বিষয়টি।

সাগরলতা নিয়ে কক্সবাজারের দরিয়ানগরে সীমিত আকারে পরীক্ষামূলক গবেষণা করেন বাংলাদেশ সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক।

আশরাফুল বলেন, সৈকতের পরিবেশ পুনরুদ্ধারে আমরা সাগরলতার বনায়ন ও তা সংরক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যা প্রকৃতি এখন আপন মনে গড়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা নিষেধাজ্ঞার সুযোগকে পরিবেশগত পুনর্গঠনে কাজে লাগাতে হবে। সাগরলতা ও বালিয়াড়ি সংরক্ষণ করতে হবে।

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রের তীর ধরে ২০-৩০ ফুট উঁচু পাহাড়ের মতোই বড় বড় বালির ঢিবি ছিল। এসব বালিয়াড়ির প্রধান উদ্ভিদ ছিল সাগরলতা। সাগরলতার গোলাপি-অতিবেগুনি রঙের ফুলে সৈকতে এক অন্যরকমের সৌন্দর্য তৈরি হতো। কিন্তু সাগরলতা ও বালিয়াড়ি হারিয়ে যাওয়ায় গত প্রায় ৩ দশকে কক্সবাজার সৈকতের ৫০০ মিটারের বেশি ভূমি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানালেন কক্সবাজারের বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনসারুল করিম।

উল্লেখ্য, একসময় কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে কলাতলী পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও অন্তত ৫০০ ফুট চওড়া একটি ডেইল ছিল। যেখানে থরে থরে ফোটা সাগরলতার ফুল দেখা যেত। আর তা দেখে চোখ জুড়াত পর্যটকদের। কিন্তু এসব বালিয়াড়িকে ঘিরে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা। ফলে হারিয়ে যায় সাগরলতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.