পটিয়ার কথাকচুয়াই দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৭
1 min readপটিয়া প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা কথাকচুয়াই গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে মসজিদের মোয়াজ্জেম সহ ৭ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়াগেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ মার্চ মঙ্গলবার
সকাল সাড়ে ৫ টায় নামাজের সময় । এঘটনায় পটিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ে হয়েছে। অভিযোগ সুএে জানাযায় দীর্ঘদিন হাফেজ ইব্রাহিম গং এর সাথে তারেক গং পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো।কিন্তু হাপেজ ইব্রাহিম গং এর দাবি করেন তার উপর হামলার ঘটনার সময় তার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে
পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।পরে তাদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। আহতরা হলেন পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নে কথাকচুয়াই গ্রামের ভাইয়ারদীঘির পাড় এলাকার ডাক্তার চাক্তার জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম হাপেজ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, তার ছেলে মোঃ সেলিম ও মোঃ সোলাইমান। অপরদিকে তারেক গং দাবি করেন হাফেজ ইব্রাহিম গং তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাকে সহ তার পিতা আবুল কালাম, মোঃ আরমান , এমরান হোসেন কে গুরুত্বর জখম করে তারাও পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা করান।
এ ঘটনায় তারেক বাদী হয়ে পটিয়া থানায় হাপেজ ইব্রাহিমসহ ৪জনকে বিবাদী করে পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ে করে। এদিকে হাফেজ ইব্রাহিম বাদী হয়ে একই এলাকার মোঃ তারেক, মোঃ আরমান, এমরান হোসেন, আবুল কালাম,খালেদা বেগম এর বিরুদ্ধে পটিয়া থানার অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ সুএে জানাযায়,২০১৪ সালে ইব্রাহিম গংদের কবরস্থানের জায়গা না থাকায় হাইওয়ে রাস্তার পাশে কবরস্থানের উন্নয়ন কাজ করার সময় বাঁশ কাটা নিয়ে ইব্রাহিমন গং এর সাথে মোঃ তারেক গং বিরোধ বাঁধে এই নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝগড়া হয়। এর পুর্বশক্রুতার জের ধরে
প্রতিপক্ষরা ৩১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৫ টায় মসজিদে আজান দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকে মারধর করে। এখবর পেয়ে তার ছেলে মোঃ সেলিম, মোঃ সোলাইমান এগিয়ে আসলে তাদেরকে তারেক গং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বলে থানার দায়েরকৃত অভিযোগ সুএে জানাযায়। তারেকের অভিযোগ পারিবারিক শক্তুতার জের ধরে তাদের উপর হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সাজেদা বেগম জানান,হামলার ঘটনা শুনেছি দুইপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। পটিয়া থানা প্রশাসন তদন্ত করে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান।
দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রকৃত দোষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।