না, আতঙ্ক ছাড়ানোর জন্য লিখছি না
1 min read[চৌধুরী ক্বায়নাত]
ইতালি যে ভুল করেছিল আমরা সে ভুল যেন না করি । শুধু টিভি বা খবরের দর্শক হয়ে নয়; কিছু করার আবেদন এটা। হোয়াটস্যাপ বা ফেসবুকের ভুয়ো খবর নয়; বরং সচেতনতা ছড়ান। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ সহ এই উপমহাদেশে মাত্র দুই সপ্তাহ যদি আমরা ঘরবন্দি হয়ে থাকি; তাহলে আমাদের অবস্থা ইতালি বা ফ্রান্সের মত হবে না। ইতালি ইরান ফ্রান্স অনেক দেরিতে করেছে, আমাদের হাতে এখনো কিছুটা সময় আছে। দুই সপ্তাহ ঘোরা-বেড়ানো বা অদরকারি কাজগুলোকে মুলতুবি রাখুন। একসপ্তাহ ছুটি কাটান ঘরে বসে, অযথা দোকান-বাজার ছোটাছুটি করে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। এই এক দু সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুসপ্তাহ পর হয়ত সেলফ কোয়ারেন্টাইনের আর কোনো প্রয়োজনীয়তাই থাকবে না। প্রকোপ একেবারে কমে যেতে পারে; নইলে হয়ত ঘরে বসে বসেও আক্রান্ত হতে পারেন।
আসুন, আমরা আগামী দু-সপ্তাহ মাত্র তিনটে কাজ করি। বেশি না, তিনটে কাজ——
#এক, বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দেই। বন্ধ মানে বন্ধ!! পাড়ার দোকানটুকুও নয়! আত্মীয়-বন্ধু-প্রতিবেশী কারোর বাড়িই যাবেন না, তাদেরও নিজের বাড়িতে ডাকবেন না। যেখানে ভিড় বেশি; কুড়ি জনের বেশি লোক জমায়েত হয়েছে সে জায়গা এড়িয়ে চলুন। সেটা শপিং মল হোক কি ধর্মীয় স্থান!! দুসপ্তাহ সেদ্ধ ভাত খেয়েই চালিয়ে নিই। চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ মজুত আছে এতদিনে। বিরিয়ানি মশলা কিনতে না বেরোনোর প্রতিজ্ঞা করি।
#দুই, সাধারণ হাইজিন মেনে চলি। খাবার আগে বা ঘন্টায় অন্তত একবার করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলি। নাকে-মুখে হাত যথাসম্ভব কম দেই।
#তিন, “আমি একা কি করব? সবাই তো মানছে না” – এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন!! আপনার মাধ্যমে যদি একজনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়; সে হল আপনার প্রিয়জন! বাবা-মা-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান! যার সঙ্গে আপনি দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন; তাকে আপনিই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো? বয়স্ক মানুষ ছাড়াও যাদের হাইপ্রেসার, সুগার, হার্টের অসুখ, কিডনি, ক্যান্সার বা অন্য কোনো সাধারণ ক্রনিক রোগ আছে, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলে তাঁদেরও মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
তিনটে বিষয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বাইরে না বেরোনো। কতদিন না বেরিয়ে সম্ভব? ঠিক দু-সপ্তাহ!আপনি হয়ত স্ট্রং, সাধারণ ফ্লুয়ের উপসর্গও নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আপনি ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু চৌদ্দদিনের মধ্যে আপনি যদি কোন অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাহলে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। এটা ভেবে শিক্ষিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি এটুকু মেনে চলে তাহলেই আমরা নিরাপদ থাকব।
আসুন দেখিয়ে দেই, প্রথম বিশ্বও যেটা পারেনি, আমাদের গরিব দেশ সেটা করে দেখিয়েছে।
বিঃদ্রঃ :: একসাথে অনেক মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য লেখাটা সার্কুলেট হওয়া জরুরি। শেয়ার করে সর্বত্রে ছড়িয়ে দিন।