এনজিও {N.G.O.} ও তাদের কর্মতৎপরতা
1 min read[সালিম মাহমুদ বিন জহির]
এনজিও হচ্ছে ইংরেজি বাক্য (Non Gvt organisatio) এর সংক্ষিপ্ত রূপ. যার বাংলা অর্থ হচ্ছে “বেসরকারী সাহায্য সংস্থা”।অর্থাৎ দেশি বিদেশী যে সব সংস্থা দরিদ্র বিমোচনে, শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, অনুদান, ঋণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে, তাদেরকে এন.জি.ও বলা হয়। এ হিসাবে ইসলামিক, অনৈসলামিক সব সংস্থাকে এন.জি.ও বলা যায়। তবে বর্তমান পরিভাষায় এন.জি.ও. বলে বিধর্মী ও খ্রিস্টানদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সেসব প্রতিষ্ঠানকেই বুঝানো হয়, যারা বাহ্যিক সেবায় মুখোশ পরে মুসলমানদের ঈমান -আকীদা ও ইসলামি চিন্তা-চেতনা এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ত ধ্বংসের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে ।বর্তমানে বাংলাদেশে দেশি-বিদেশী নিবন্ধিত এন.জি.ও -র সংখা ২০ হাজারের বেশী আর নিবন্ধন ছাড়া ৫৫ হাজারের চেয়েও বেশী।[ইনকলাব]
তাদের কর্মতৎপরতা: এনজিওদের কর্মকান্ড কেবলমাত্র সেবার মধ্যেই সীমিত থাকবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশের এনজিওগুলো কি তাই করেছে.? নিশ্চয় না। যদিও তারা বাহ্যত নিজেদেরকে দুঃস্থ মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ হিসেবে প্রকাশ করছে, কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য কি, তা বর্তমান তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ড থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কার্য প্রদানের নামে তারা গরীব দুঃখীদের নিকট থেকে চড়া মূল্যে সুদ উসুল করে তাদেরকে সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে। ফ্রি চিকিৎসা, খাদ্যবস্তু ইত্যাদি প্রদানের মাধ্যমে অসহায় জনসাধারণকে নিজেদের আয়ত্বে এনে তাদের মূল্যবান ঈমান -আকীদা ধ্বংস করছে। তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রকল্পে মহিলাদেরকে ব্যাপকহারে চাকুরী দিয়ে পশ্চাত্যের নোংরা সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসার ঘটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
স্বামীর প্রতি স্ত্রীকে ক্ষেপিয়ে তুলছে বিভিন্নভাবে, আর এর মাধ্যে তারা মুসলমানদের পারিবারিক অবকাঠামো ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদেশের সরলমান মুসলমানদেরকে খৃস্টধর্মে দীক্ষিত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তারা খৃস্টধর্মের উপর লেখা। বিভিন্ন বই পুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করে এর মাধ্যমে তারা এ পর্যন্ত বহু মানুষকে খ্রিষ্টান বানাতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া সেবার ছদ্মবরণে এনজিও চক্র আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানাভাবে আঘাত হানছে। এরা সেবার মাধ্যে অসহায় জনসাধারণকে নিজেদের আয়ত্তে এনে খ্রিস্টান বানানোর পায়তারা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনে বক্তব্য দিয়ে চলছে এবং আমাদের সম্মানিত উলামায়ে কেরামের চরিত্রকে কলংকিত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। যাতে সাধারণ মানুষ তাদের থেকে দীন শিখতে আগ্রহী না হয়।
এসব এনজিও চক্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের পৃষ্ঠপোষকতায় অসংখ্য স্কুল স্থাপন করে মুসলিম শিশু কিশোরদের অন্তরে খ্রিস্টবাদের বীজ বপন করছে। যেন পরবর্তীতে এরাই ইসলামের বিরোধিতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও তারা অধিকারের বুলি আউড়িয়ে মুসলিম নারীদেরকে পর্দার ভিতর থেকে বাইরে এনে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে। নিজেদের বিভিন্ন প্রকল্পে মেয়েদেরকে চাকুরী দিয়ে তাদেরকে বাইসাইকেল, মোটরবাইক ইত্যাদিতে চড়ে অফিসে আসা-যাওয়া করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। এসবের মাধ্যমে তারা সমাজের বেহায়াপনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং মুসলিম যুবক ও যুবতীদের অমুল্য সম্পদ চরিত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এভাবে তারা আমাদের নৈতিক ও চারিত্রিক মেরূদন্ডকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে দেওয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
মোটকথা বর্তমান এনজিওদের কর্মকান্ড পর্যালোচানা করে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, তারা এদেশকে একটি খ্রিস্টরাজ্যে পরিণত করার লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
লেখক: সীমান্তের আহ্বানের প্রতিনিধি