২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা - Shimanterahban24
June 5, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

1 min read

[মো: আব্দুল্লাহ]

প্রতিবছর মার্চ মাস আসলেই আমার মনে পড়ে যায় ইতিহাসে পড়ে পাওয়া ১৯৭১ সালের সেই অগ্নিঝরা মার্চের কথা আর আমাদের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার কথা। সেসব বলতে গেলে দুচোখে জল এসে যায়। তবু বলতে হয়, লিখতে হয়, যারা ১৯৭১ সালের গণহত্যা আর আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মহান স্বাধীনতা দেখেনি তাদের জন্য।

ইতিহাস পড়ে জানাযায়, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নারকীয় সময় নেমে আসে বাংলাদেশে। সবুজ-শ্যামলে ঘেরা দেশের সাধারণ মানুষের উপর ইতিহাসের বর্বরোচিত আক্রমণ চালায় পাকিস্তান। নিহত হন কয়েক লক্ষ সাধারণ মানুষ। এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় শহর, নগর, বন্দর। এর পর দিন, ২৬ মার্চ ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ এই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় জন্ম নেয় নানা নাটকীয়তা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আলোচনার আড়ালে নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে।

এক পর্যায়ে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে সব ধরণের মানবতা ভুলে অন্ধকারে নিরীহ মানুষের বুকের ওপর ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে এক কুখ্যাত সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয় পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী। মৃত্যু, কান্না, ধ্বংস আর আত্মচিৎকারের মধ্যেই বাঙালিকে নামতে হয় অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে।

সেদিন রাতেই, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। এর আগে তিনি চট্টগ্রামে অবস্থিত তত্কালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। উইকিপিডিয়া। নিজ দেশের ভূমি থেকে শেষ শত্রুটিকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি।

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বেজে ওঠে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। ২৬ শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেমসহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন। একই দিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। উইকিপিডিয়া।

২৬ শে মার্চ থেকেই মূলত শুরু হয় বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম। বাংলাদেশের বুক থেকে পুড়িয়ে দেয়া হয় পাকিস্তানের পতাকা। পতপত করে বাতাসে উড়তে শুরু করে সবুজের মাঝে লাল, লাল বৃত্তের মাঝে মানচিত্র খচিত পতাকা। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে, ৩০ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ বীরাঙ্গনার ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয় এই ভূখন্ড। পূর্ব পাকিস্তানের অতীত মুছে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করবে জাতি। আর যাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ, যাদের ত্যাগের বিনিমিয়ে আমারা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, তাদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। সেই সাথে সব মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই গভীর শ্রদ্ধা। কামনা করি জয় হোক যুগে-যুগে বাংলার মেহনতি মানুষের, বারবার ফিরে আসুক আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস।

লেখক: সীমান্তের আহ্বানের বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.