নবীগঞ্জে সামিট বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট সড়কে সন্ধ্যা হলেই যেন আতংকের সীমা নেই
1 min readআশাহীদ আলী আশা।।
নবীগঞ্জ উপজেলাধীন অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট “সামিট বিবিয়ানা বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট সড়ক”। ঐ রাস্তায় এলাকার যাতায়াতকৃত সর্বসাধারনের সন্ধ্যা হলে আতংকের সীমা নেই । দিনের শুরুতে কিছু সংখ্যক লোকের সমাগম, যাতায়াত ঘটলেও সন্ধ্যা হলে কোনো লোকের একা যাতায়াত সমাগম হয়না বলে জানা গিয়েছে।হাওড়ের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট সড়কটি উপজেলার আউশকান্দি ইউপির অর্ন্তভূক্ত হওয়ায় এলাকার পারকুল, বনগাঁও, পাহাড়পুর সহ আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষেরা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতে করে থাকে। দিনের শুরুতে এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতাযাত করলেও সন্ধ্যায় কোনো প্রকার বাতি ও রাস্তার-পাশে কোনো বাড়িঘর না থাকায় ভুতুরে সড়কের ন্যায় বিরাজমান হওয়াতে ভয়ে কোনো মানুষের একা যাতায়াত সম্ভব হয় না এই রাস্তা দিয়ে যেতে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানাযায়, প্রায় দিনের শুরুতে, রাতে মাদকসেবনে ব্যবহৃত কিছু তথ্যের উৎপাত দেখতে পাওয়া যায় সড়কে। যেমন, পরিত্যাক্ত বোতল, ধুমপানের বক্স, গাঁজা সেবনের ব্যবহৃত অনেক কিছু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসার ফলে প্রায় দিন রাতে শেরপুর বাজার থেকে সিএনজি গাড়ি যুগে বাড়ি ফেরার পথে পাওয়ার প্ল্যান্ট সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ফলে মধ্যরাতে ঐ রাস্তাদিয়ে এলে কিছু সংখ্যক লোকের সমাগম দেখতে পাওয়া যায়। লোক গুলো মাইক্রোকার, সিএনজি গাড়ি নিয়ে এসে সড়কের মধ্যভাগে সেতুর পাশে বসে। এমনকি লোকগুলো মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে মাদকসেবনেও তাদের দেখতে পাওয়া যায় গিয়েছে। তারা প্রতিদিন রাতে এখানে বসে মাদকসেবন করে যার ফলে এই রাস্তা দিয়ে রাতে মানুষ ভয়ে যাতায়াত করে না। এমন অবস্থা বিরাজমান থাকলেও কোনো প্রকার নিরাপত্তায় সিকিউরিটি নেই রাস্তায়।যার ফলে সন্ধ্যার পর থেকে বাতিবিহীন ভূতুরে শহরে পরিণত হয়েছে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট সড়কটি। এতে মাদকসেবীরা নিরাপদে মাদক সেবনের অন্যতম সড়ক হিসাবে বেছে নিয়েছে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট সড়কের মধ্যভাগের সেতু। আর এই সেতুর পাশে বসে নেশাজাতদ্রব্য সেবন করছেন মাদকসেবীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, শুধু তাই নয় রাতের আধাঁরে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে আসা মালবাহী ট্রাক থামিয়ে অনেকেই চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করছে এমনও অভিযোগ রয়েছে।
এলাকার প্রায় ৫টা গ্রামের ২০হাজারেরও বেশি মানুষের যাতায়াত দিনেদুপুরে হলেও সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তার আশপাশে বাড়িঘর না থাকায় ভয়ে কোনো মানুষের যাতায়াত সম্ভব হয় না। অহরহ অতর্কিত হামলা, চুরি, লুটপাটের ঘটনা এমনকি কিছু দিন আগে পরিকল্পিতভাবে উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের জাহেদ হোসেন হত্যার ঘটনা ঘটলেও রাস্তায় কোনো প্রকার টহল জোরদার করা হচ্ছেনা বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ও এলাকার সাধারণ মানুষ। যার ফলে এলাকার মানুষেরা এই রাস্তা দিয়ে রাতে যাতায়াত করে না।
জাহেদ হত্যাকান্ডের ঘটনার আগে অনেকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মানববন্ধন করে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট কতৃপক্ষ ততা প্রশাসনের নিকট ল্যাম্পপোষ্ট ও টহল জোরদারের দাবী জানানো হলেও কোনো প্রকার পদক্ষেপ আজও গ্রহণ করা হয়নি