করোনা! জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠে নামছেন ভাইস চেয়ারম্যান কয়েছ
1 min read
আবু তালহা তোফায়েল :: ২১ (মার্চ) শনিবার সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে। “করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আতঙ্ক নয়,চাই সচেতনতা”এই মেসেজকে সামনে রেখে আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং করে।
এসময় গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ বলেন- মহামারী এই করোনা ভাইরাসে থমকে গিয়েছে পুরো পৃথিবী। চঞ্চল জনপথ,ব্যাস্ত শহর,পর্যটন কেন্দ্র,প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, বাজার,সড়ক-মহাসড়ক সবকিছুতেই ছুয়ে গেছে নীরবতা। সর্বত্র বিরাজ করছে হাহাকার। করোনায় আক্রান্ত ছোট্ট বাচ্চা, মা বাচ্চাকে সংস্পর্শ থেকে কাচের গ্লাসে রেখে দিয়েছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ছোট্ট বাচ্চাকে কেউ স্পর্শ করছে না।
স্বামী তার স্ত্রীকে, স্ত্রী তার স্বামীকে বাবা তার সন্তানকে, ছেলে তার বাবাকে, বোন তার ভাইকে, ভাই তার বোনকে, সবাই একে-অপরকে প্রচন্ডরকমের ভালোবাসে কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কেউ কারো পাশে যায়না!
তিনি বলেন আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং সকলের সচেতনতায় “করোনাভাইরাস”থেকে রক্ষা পেতে পারে বাংলাদেশর মানুষ।
নোভেল করোনাভাইরাস শ্বাসতন্ত্র রোগ সৃষ্টি করে এমন একটি নতুন ধরনের ভাইরাস(কোভিড-১৯),যা আগে কখনও মানবদেহে পাওয়া যায়নি।করোনাভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়।হাঁচি,কাশি,কফ,সর্দি,থুতু এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এই রোগ একজন থেকে আরেকজন ছড়ায়।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)এর লক্ষণসমূহ।
লক্ষণের তীব্রতা হালকা অথবা মারাত্মক হতে পারে।
-জ্বর-১০০.৪ ডিগ্রি বা বেশি।
-কাশি-সাধারণত শুকনা কাশি।
-গলাব্যথা।
-শ্বাসকষ্ট।
তিনি উপরোক্ত তথ্যগুলো দিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি কী? তা উল্লেখ করেন যে,
*বেশী বেশী করে দোয়া,দরুদ,ইস্তেগফার,তাওবা করা এবং গুনাহের কাজ বর্জন করে চলা।
*হাঁচি-কাশি দেওয়ার আগে টিস্যু,রুমাল বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকি এবং পরে সাবান দিয়ে হাত ধুই।
*কিছুক্ষণ পরপর অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত সাবান দিয়ে পরিস্কার করি।
*ব্যবহারের পর টিস্যু ঢাকনাযুক্ত বিনে ফেলি।ফেলার পর আবার হাত ধুয়ে ফেলি।
*সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি।জনবহুল স্হান,সভা-সমাভেস এবং সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহার করি।
*চোখ,নাক ও মুখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকি।
*নিজের জ্বর,কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকলে সুস্হ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকি।
*বিদেশ থেকে ফিরলে ১৪ দিন। বাড়িতে কোয়ারাইন্টাইনে(সবার থেকে আলাদা)থাকি।