নবীগঞ্জের বহুল আলোচিত লিটনের ২ বছরের কারাদণ্ড! বাদী পরিবারকে হুমকির অভিযোগ - Shimanterahban24
June 5, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

নবীগঞ্জের বহুল আলোচিত লিটনের ২ বছরের কারাদণ্ড! বাদী পরিবারকে হুমকির অভিযোগ

1 min read

আশহাদ আলী আশা।।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের মৃত সুজন মিয়া (হলংগা কাচা) মিয়ার পুত্র লিটন মিয়া নামের এক প্রচারককে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়ার অপরাধে
সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালত এর ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক শারমীন খানম নীলা লিটনকে দোষী সাব্যস্তক্রমে গত ১৩ নভেম্বর তাকে ২ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন৷৷ আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের মূল হোতা হিসেবেই লিটন উপজেলার সর্বত্র তার পরিচিতি রয়েছে। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে সিলেট বিভাগ তথা দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় তার বাহিনীর মাধ্যমে প্রতারণা সহ নানা কুকর্ম চালিয়ে আসছিলো। তার প্রতারনার ফাঁদে পড়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ,সম্প্রতি তার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সিলেট এম সি কলেজের বি,এ ২য় বর্ষের ছাত্রী জাফরীন নাছরিন নামের যুবতী নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার খুঁইয়ে আত্মহত্যা করেন। মেয়ে আত্মহত্যার শোকে কাতর জাফরীনের অসহায় বাবাও তা সইতে না পেরে হার্টএ্যাটক করে মৃত্যু বরণ করেন। এই করুণ কাহিনীর এথানেও শেষ নয়।
প্রতারক লিটন তার মামার বাড়ী নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ভুবির বাক গ্রামে তার মামা উসমান গনির বাড়ীতে মা রায়জান বিবিকে নিয়ে বসবাস করছেন। এখানে থেকেই তিনি প্রতারণা ও অপকর্মের মিশন চালু করে তার টার্গেট মত বিভিন্ন এলাকায় সহজ সরল মানুষকে বিশেষ করে সে তাকে লন্ডন প্রবাসী পরিচয় দিয়ে তার প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অনেক যুবতী মেয়েদের সর্বস্ব হাতিয়ে নেন ।অবশেষে লিটন
সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে ২০১৫ সালের প্রথম দিকে তার টার্গেট মত প্রতারণার ফাঁদ পেতে, তার ফাঁদে পা দেয় জাফরীন, সে
বি,এ ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী ও সিলেট এস,এমপি’র মোগলা বাজার থানার আলমপর গ্রামের এম নুরুল হক রুনু মিয়ার কন্যা (২২) । এর পরথেকে জাফরীন নাছরিনের সাথে২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্টুডেন্ট ভিসায় তাকে লন্ডন নেয়ার কথা বলে তার কাছথেকে প্রতারনার মাধ্যমে প্রথমে নগদ ২লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে আরো ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার সহ ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়, এবং লিটন তার প্রকৃত নাম গোপন করে ছদ্মনাম সুহেল,বাড়ী জগন্নাথ পুর, সুনামগঞ্জ এছাড়া সে এম,সি কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার হতিয়ে নেন লিটন মিয়া, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় জাফরীনকে লন্ডন নেয়ার কথা বললে ও লন্ডন নেয়াতে দুরের কথা উল্টো তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ায় ওই কলেজ ছাত্রী তার ভয়ে কলেজে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেন এবং তার বাবা সহ পরিবারের সবাইকে বিষয়টি অবগত করে তার সাথে লিটনের মোবাইল ফোনে কথোপকথন রেকর্ড সহ সব তথ্য সমজিয়ে দেন। এঘটনার প্রতারণার শিকার কলেজ ছাত্রী জাফরীনের বাবা এম.নুরুল হক রুনু বাদী হয়ে এস.এমপি সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায অভিযুক্ত লিটন মিয়া,তার মামা উসমান গনি ও মাতা রায়জান বিবিকে আসামী করে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী একটি মামলা দাযের করেন, মামলা নং ০৭,তাং ০৩/০২/২০১৬ ইং । উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে উসমান গনি ও রায়জান বিবি দীর্ঘদিন যাবৎ হাজতবাস শেষে জামিনে মুক্তি পান। পলাতক থাকেন মূল প্রতারক লিটন মিয়া। অবশেষে দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে শুনানী শেষে তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। উল্লেখ্যঃ প্রতারক লিটন মিয়ার প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে উক্ত মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালের ৪ঠা মে শবে মেরাজের রাত্রিতে জাফরীন নাছরিন লিটনের প্রতারণা ও হুমিকর মানষিক চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।মেয়ে আত্মহত্যার করুণ শোক সহ্য করতে না পেরে কিছু দিন পরেই জাফরীনের অসহায় বাবা তিনিও এম.নুরুল হক রুনু (হৃদরোগে) হঠাৎ মারা যান।
এই করুণ কাহিনী ও শোকে কাতর জাফরীনের পরিবার পরিজন আজো যেন বিচারের বাণীতে নিরবে কাঁদছেন। জাফরীন নাছরিনের এমন মৃত্যু তার পরিবার আত্মীয় স্বজন সহ সহপাঠীরা কেহই মেনে নিতে পারছেন না। এরই প্রেক্ষিতে জাফরীন নাছরিন মারা যাওয়ার পরে নারী শিশু আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করা হলে উক্ত মামলাটি ও বর্তমানে সিলেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, নাছরিনের পরিবার উক্ত মামলাটির ন্যায় বিচারের আশায় ও প্রতারক লিটন সহ তার সহযোগীদের কঠিন শাস্তি দাবী করছেন। প্রতারক লিটন মিয়া সে স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন গিয়ে ধৃত হয়ে দেশে ফিরে এসে এমসি কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছে বলে জাফরিনকে জানিয়ে ছিল এবং সে আবারো তার দুলা ভাই ও লন্ডনী আপার মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন চলে যাবে বলিয়া নাছরিনকে জানায়। সে আরো জানায় নাছরিন যদি স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যেতে আগ্রহী হয় তবে তার নিকট খরছ বাবদ নগদ টাকা অগ্রীম দিতে হবে। তার কথামত সরল বিশ্বাসে মেধাবী ছাত্রী জাফরীন নাছরিন প্রথমে লিটনকে ২লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, পরবর্তীতে আরো ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার সহ প্রায় ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের সোনা গহনা সহ সমজিয়ে দেয় লিটনের মা ও মামার সম্মূকে। এর পরপরই বেরিয়ে আসে প্রতারক লিটনের আসল পরিচয় ও তার প্রতারনার আসল চেহারা।
এছাড়াও লিটন ও তার বাহিনী কর্তৃক জাফরীন নাছরিনের পরিবারকে বিভিন্নভাবে এখনো নানা হুমকি ধামকি সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি খোলে মানহানিকর স্ট্যাটাস দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নিহত জাফরীন নাছরিন এর চাচা আবুল হাসনাত। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন প্রতারক লিটনকে বিজ্ঞ আদালত ২ বছরের সাজা প্রদান করলেও ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও আজোবদি লিটন গ্রেফতার হয়নি। আমরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.