গোয়াইনঘাট ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারে সর্বমহলের নিন্দা
1 min read

গতকাল রাত ১.৩৪ মিনিটে অনলাইন পত্রিকা ‘ক্রাইম সিলেট’ গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় গোয়াইনঘাট উপজেলার সর্বসাধারণ ক্ষেপে উঠে। তারা বলেন যে হলুদ সাংবাদিকতার লিমিট থাকা দরকার, লিমিট ক্রস করে ফেলছে তথাকথিত হলুদ মিডিয়া ক্রাইম সিলেট।
আজ ১৮ মার্চ গণমাধ্যমে (ফেইসবুকে) গোয়াইনঘাটের দেশে বিদেশে অবস্থানরত সর্বসাধারণের আনুমানিক ১৫০-২০০ আইডি থেকে এই নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তারা নিন্দা জানিয়ে সীমান্তের আহ্বানকে অবগত করেন-। তারা নিন্দা জানিয়ে ও ক্ষোভ প্রকাশ করে যা উল্লেখ করেছেন। নিম্নে হুবহু তা উল্লেখ করা হলো।
ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারে নিন্দা জানাই
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসীর ভালোবাসার এক নাম। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন গোয়াইনঘাটের আপামর জনসাধারণের ভোটে। তার পূর্বে কোনো জনপ্রতিনিধি তার মত এমন ভোটের রেকর্ড গড়তে পারেন নি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের ভালোবাসা ও আস্থার প্রতীক হিশেবে আছেন। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করতে পারেনি। সাদামনের মানুষ। দিনরাত সর্বদাই মানুষের দোয়ারে দোয়ারে খোঁজ খবর নিতে থাকেন। তার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নেই, যেখানে তার সময় দিতে হয়। বর্তমান গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ও ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ দিনের ১৮ ঘন্টা পরিষদের কাজেই নিযুক্ত থাকেন।
তার বিরুদ্ধে ১৮ মার্চ রাত ১.৩৪-এ, তথাকথিত ভূইফোড় নামসর্বস্ব অনলাইন পত্রিকা (ক্রাইম সিলেট) গোয়াইনঘাটের আপামর জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।
সংবাদে “গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা” বলে বরাত দিয়ে এই সংবাদটি তৈরী করে ক্রাইম সিলেট পত্রিকার সম্পাদক তার বিরুদ্ধে অপবাদ রটাচ্ছেন।
১) সংবাদে উল্লেখ করা হচ্ছে যে, “তিনি সরকার কর্তৃক কোনো কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন না”। অথচ এই হলুদ মিডিয়া (ক্রাইম সিলেট) বিগত ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯-এর গোয়াইনঘাটের একটি সংবাদ প্রচার করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার; সেখানে ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছকে মায়নাস করার জন্য তার ছবি ক্রোপ করে কেটে দেয়। তাকে মায়নাস করতে শহীদদের ছবি কেটে তাদের মর্যাদায় আঘাত করে।

এই হলো তাদের হিংসাত্মক সংবাদ পরিবেশনের নমুনা। তাছাড়া তিনি একাধিক সরকারী কর্মসূচি বা প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকেন। পূর্বের কোনো ভাইস চেয়ারম্যান এভাবে তার মত পরিষদের সাথে সক্রিয় ছিলেন না। শুধু তাই নয়, মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধনের সময় ও উপস্থিত ছিলেন তিনি। তাছাড়া, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সর্বদা উপস্থিত থাকেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সাথে সাথে প্রত্যেক প্রোগ্রামের র্যালীতেও অংশগ্রহণ করেন। বিস্তারিত গোলাম আম্বিয়া কয়েছের ফেইসবুক টাইমলাইন খোঁজলে দেখতে পারবেন।
২) সংবাদে আরো উল্লেখ করেছেন যে, “মানুষ নাকি তার প্রতি ক্ষোভ”। আসলে তারপ্রতি জনসাধারণ ক্ষোভ নয়, হলুদ সাংবাদিকরাই তার প্রতি ক্ষোভ। তিনি ১৭ মার্চে সকাল ১১টায় অফিসে জয়েন করেন। সকাল বেলায় তার ছেলে অসুস্থ ছিলো, সেজন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে এর ফলে যে মানুষ ক্ষোব্ধ তারপ্রতি, তা একদম মিথ্যে কথা। একজন মানুষও খোঁজে পাবেন না যে তারপ্রতি ক্ষোভ; এটা চ্যালেঞ্জ। যেখানে তিনি মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন, সেখানেই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি সর্বদা সরকারি প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকেন।
৩) সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, “উপজেলার সামপ্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার জন্য আলেম সমাজদের উসকানি দিয়ে থাকেন গোলাম আম্বিয়া কয়েছ”। হলুদ মিডিয়া জানেনা যে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর মসজিদ-মন্দির, মাদরাসা-স্কুলে ফ্যানসহ বিভিন্ন অনুদান দিয়েছেন। আর হ্যাঁ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করছেন আপনারা হলুদ মিডিয়ারাই। আলেম উলামারা কখনো কারো উসকানিতে কান দেয়না, তোমরাই টাকার লোভে এদিকে একবার আর ওদিকে একবার যাও। তুমাদের মত সাংবাদিকরাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করছে। ভাইস চেয়ারম্যান কয়েছ তাদেরকে অনুদান দেয়নি, সেজন্য তার বিরুদ্ধে নামে বেনামে সংবাদ প্রচার করতে মাঠে নামছে।
৪) সংবাদে বলা হয়েছে যে, “তার আশ্রয়ে নামসর্বস্ব সংবাদকর্মীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছেন”। হলুদ সাংবাদিকতার সীমারেখা পর্যন্ত পাড়ি দিয়ে যাচ্ছে ক্রাইম সিলেট। তার আশ্রয়ে মিথ্যা সংবাদ নাকি সত্য সংবাদ প্রচার করছে, তা ১৭ মার্চ দুপুরে এম এ মতিন যখন ক্রাইম সিলেটের বানোয়াট সংবাদের লিংক শেয়ার করছিলেন, তখন ২০ টা কমেন্ট হওয়ার পর বুঝে গিয়েছিলেন যে, আসল রহস্য পাশ হতে যাচ্ছে। পোস্ট রিমোভ করতে বাধ্য হয়েছেন। মিথ্যা সংবাদ প্রচারে তো হলুদ মিডিয়া আর হলুদ সাংবাদিকই যথেষ্ট। যেমন ক্রাইম সিলেট।
৫) সেখানে আরো বলা হয়েছে যে, “তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক“। এই কথাটা সম্ভবত ওরা নতুন শুনছে। তারা জানেনা যে বিগত কাউন্সিলে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর গণমাধ্যমে যথেষ্ট অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা পেয়েছেন। তিনি একজন আলেম হিশেবে রাজনীতি করেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের রুপকার, ও বাংলাদেশ স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক সংগঠন, হক্ব ও হক্বানিয়তের পতাকাবাহী সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। এটা দিয়ে কী বুঝাতে চাচ্ছে হলুদ মিডিয়া ক্রাইম সিলেট? যেখানে ক্রাইম সিলেটের সম্পাদক নিজেই ৭১ সালের স্বাধীনতা বিরুধী সংগঠন আলবদর, আল-শামস ও রাজাকার সংগঠনের সহযোগী সংগঠনের সাথে জড়িত।
এই মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারে ক্রাইম সিলেটকে নিন্দা জানাই। ছিঃ ছিঃ ছিঃ ক্রাইম সিলেট। ক্রাইম সিলেটকে বয়কট করি, গোয়াইনঘাট থেকে বয়কট করি।
ক্রাইম সিলেটের উপর বিক্ষুব্ধ জনতা তারা নিজেই এর জবাব দিয়েছেন।