কওমী মাদরাসায় খোদায়ী কোয়ারেইন্টান রয়েছে! সুতরাং বন্ধ নয়, খোলা রাখাই যুক্তিযুক্ত
1 min read[শাহিদ হাতিমী]
করোনা আতংকে গোটা দুনিয়া কম্পমান। হে আল্লাহ, আমাদের হেফাজত করুন। কথা হচ্ছে, মৃত্যুকে ঠেকানো কি সম্ভব? কুরআন বলছে, মৃত্যু তোমাকে কোনো অবস্থাই রেহাই দেবেনা! হ্যা, সতর্ক থাকা বা সচেতনতা নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু বিবেকের আয়নায় কিছুটা সময় ব্যয় করতে কি আর বাধা আছে? এমনকি সরকারি কোনো নির্দেশনা মানা না মানা নিয়েও এ পোস্টের অন্তর্নিহিত কোনো ইচ্ছে নেই। তবুও কথা যে থেকে যায়! যেহেতু আজকের টাইমলাইন কওমী মাদরাসা বন্ধ-খোলা নিয়ে তুমুল ব্যাপার-স্যাপার। বন্ধ নয়, প্রত্যেকটি কওমী মাদরাসাকে একেকটি কোয়ারেইন্টান ঘোষণা করুন! খোলা রেখে খোদায়ী মুয়ামালাত বাড়ান, কেননা Quarantine মানে সঙ্গরোধ! আর কওমী মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকরা দুনিয়ার সঙ্গ ত্যাগ করে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর সঙ্গেই সময় কাটানোকে পছন্দ করে বেশি! আল্লাহর সঙ্গলাভ করতে হলে একাই শ্রেয় পদ্ধতি। সরকার কোয়ারেইন্টানের মাধ্যমে মানে একজন মানুষকে দুনিয়ার সকল ঝামেলা থেকে মুক্ত রেখে, বিশেষত জনবিচ্ছিন্নতায় একাগ্রভাবে ১৪দিন কাটানোর পর সুস্থ হলে ঘোষণা দেবে লোকটি করোনা ভাইরাসমুক্ত! অথচ প্রতিটি কওমী মাদরাসায় সেই যুগযুগান্তর থেকেই একাগ্রতা অবলম্বনের দীক্ষা দিয়ে আসছে। রাতের আঁধারে তাহাজ্জুদে একাগ্রতা, দিনের বেলা নামাজ রোজায় একাগ্রতা, এমনকি মহাগ্রন্থ আল কুরআন তেলওয়াতেও একাগ্রতা অবলম্বন উত্তম মাধ্যম। যা সচরাচর কওমী মাদরাসায়ই বিপুলভাবে লক্ষণীয়। অতএব যে উদ্যেশ্যে কোয়ারেইন্টানে অবস্থান দরকার সেটা কওমী মাদরাসায় রয়েছে। তাই, বন্ধ নয়, কওমী মাদরাসা খোলা রাখাই যুক্তিযুক্ত।
লেখক: তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ