আদর্শবানরূপে নিজেকে গড়তে চাইলে চার গুণাবলী অর্জন করতে হবে; আল্লামা ক্বাসেমী - Shimanterahban24
May 29, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

আদর্শবানরূপে নিজেকে গড়তে চাইলে চার গুণাবলী অর্জন করতে হবে; আল্লামা ক্বাসেমী

1 min read

আদর্শ জীবন গড়তে ছাত্রদের জন্য ৪টি শর্ত রয়েছে। এই ৪টি শর্ত আত্মস্থ করে সকলকে ছাত্র জীবনে থেকেই সৎ ও নীতিবান হওয়ার অনুশীলন করে চলতে হবে। এক নম্বর শর্ত হচ্ছে, সার্বক্ষণিক পাক-পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে চলা। জীবনের সর্বস্তরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পাক-পবিত্র, সুন্দর ও পরিপাটি হয়ে হয়ে চলতে হবে। নোংরা, অপরিষ্কার, অগোছালো ও বিশৃঙ্খল হয়ে চলা যাবে না।

দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, সুস্থির, ধৈর্যশীল, সহিষ্ণু এবং জ্ঞান খরচ করে কাজ করা। অস্থির, অধৈর্য ও আবেগাপ্লুত হয়ে কাজ না করা। যে কোন কাজের সময় বুঝে, শুনে, সুস্থির হয়ে, ভাবনা-চিন্তা ও ভবিষ্যত ভাল-খারাপের পরিণতি বিশ্লেষণ করে আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ শুরু করা। চিন্তা-ভাবনা ছাড়া হুটহাট বা মন যা চাইল তা একদম করা যাবে না।

উন্নত জীবন গঠনের তৃতীয় শর্ত হচ্ছে, ইনসাফ ও ন্যায়-নিষ্ঠাবান হওয়া। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সমাজিক ও জাতীয় জীবনে যে কোন কাজকর্ম ও লেনদেনের সময় ন্যায়-নিষ্ঠা, সততা, আমানতদারি, ইনসাফ ও সুবিচারের পরিপূর্ণ অনুগামী হওয়া। কারো অধিকার ও হক বিন্দু পরিমাণও নষ্ট বা খেয়ানত করার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। ব্যক্তি জীবনে নিজের উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পরিপূর্ণ সততা ও ইনসাফের সাথে আদায় করতে হবে। হক্কুল্লাহ ও হক্কুল ইবাদ তথা আল্লাহর হক ও বান্দার হক্ব এর বিষয়ে সামান্যতম খেয়ানতের চিন্তাও দিল থেকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করতে হবে। জীবনের সর্বস্তরে ইনসাফ, সুবিচার ও সততার সাথে চলতে হবে। নিজের শরীরের, স্ত্রীর, সন্তানদের, আত্মীয়-স্বজনদের, পাড়া-প্রতিবেশী এবং দেশ ও জাতির হক্ব নিজের অবস্থান অনুপাতে ন্যায় ও ইনসাফের সাথে আদায় করতে হবে।

উন্নত জীবন গড়ার চতুর্থ শর্ত হচ্ছে, ইহসান তথা উদারতার গুণ থাকা। মনকে বড় ও উদার করতে হবে এবং সংকীর্ণতা ও কৃপণতা পরিহার করতে হবে। মানবিক দয়া-মায়ার গুণ অর্জন করতে হবে। নিজের রাগ দমন এবং ক্ষমা ও দয়াপ্রদর্শন করা। মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করা। যার যার সাধ্যমতো মানবতার জন্য ও মাখলুকের কল্যাণে কাজ করা। নিজের চাওয়া-পাওয়ার বাইরে স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সমাজ ও জাতির কল্যাণকামী হওয়া এবং সাধ্যমতো সেবা করা।

এই চার গুণের সমাবেশ যার মধ্যে পাওয়া যাবে, বুঝতে হবে তাঁর মধ্যে আদর্শ মানুষ রূপে বিবেচিত হওয়ার গুণাবলী আছে। আর যার মধ্যে এই চার গুণ নেই, বুঝতে হবে সে দেখতে মানুষ হলেও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষদের কাতারে পড়ে না। সে পশু বা পশুর চেয়েও অধম। সুতরাং প্রতিটি ছাত্র ও প্রতিটি ব্যক্তিকে এই চার গুণাবলী অর্জনে সবসময় সজাগ ও চেষ্টা সাধনা করে যেতে হবে।

-আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক- জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ও জামিয়া সুবহানিয়া মাহমূদনগর এবং মহাসচিব- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.