ব্র্যাক অফিসের পরিকল্পিত কার্যকলাপে রাধানগর এলাকা ধ্বংসের দিকে
1 min read
[হাফিজ এহসান উল্লাহ]
দেশের পর্যটন আকর্ষণ, চারিদিকে পাহাড়ের ঢেউ খেলানো ডাউকির কোল ঘেঁষা স্বচ্ছ শীতল জলের নদী, ঝর্ণা, চা বাগান, অরণ্যঘেঁরা টিলার সমাহার ও খনিজ সম্পদের রাজ্য জাফলং যেন শিল্পীর আঁকা এক রূপকথার ছবি। সেই জাফলং ইউনিয়নের অন্যতম ধর্মভিরু এলাকা রাধানগর। নিজ ধর্মকে অক্ষুণ্ণ রাখতে যারা প্রাণ বাজি রাখতে পারে। সেই রাধানগর বাজারের পাশেই অবস্থিত এনজিও সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ব্র্যাক অফিস। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, এই অফিস বসাতে এলাকার মাথামোটা ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্য কারোই সমর্থন ছিলনা। অফিসটা কয়েক বছর নিজ গতিতেই চলছে। সাম্প্রতিক মর্মস্পর্শী একটা বিষয় দৃষ্টিগোচর হচ্ছে; এই অফিসের কর্মরত এক মেয়ের নাম ফাতিমা আক্তার (২০/২১)। মেয়েটি কয়েক বছর থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। অর্থাৎ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হেটে হেটে কাজ করে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এ কর্মকর্তা মাস দেড়েক থেকে অফিসিয়াল মটরবাইক দিয়ে এলাকা জুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যখন মেয়েটি হেটে হেটে কাজ করছিল তখন তার পরনে ছিল বোরকা, কিন্তু মটর সাইকেল দিয়ে চলাচলের শুরু থেকেই সেই বোরকাটিও আর দেখা যায়না। মটর সাইকেল যোগে রাধানগর বাজারের রাস্তা দিয়ে দৈনিক ঘুরাফেরা করার দৃশ্যটি আমাদের সমাজকে ঠেলে দিচ্ছে রসাতলে। বয়স্ক মুরব্বিদের মাঝে দু’ একজন কথা বললেও তাতে কান দেয়া হচ্ছেনা খুব একটা। এলাকার লোকেরা কি চায়?? একটি বেহায়া মেয়ের কারণে এলাকার সব মেয়েরা নষ্ট হোক?
আসলে এখানে মেয়ের দোষ থেকে আমার মনে হয় অফিসের প্রতারণাই বেশি। কারণ এনজিও’র প্রধান কাজ হল মুসলমান মেয়েদেরকে ঘরের ভেতর থেকে মাঠে নামানো। তাদের কাছে টাকা ঋণ আনতে গেলে মহিলা লাগে। কোনো পুরুষকে টাকা দেয়া হয়না। মাঠ পর্যায়ে তাদের যত কর্মী আছে, প্রায়ই সুন্দরী যুবতি।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট অনুরোধ করছি, দয়া করে বিষয়টি দেখেন এবং আলোচনা সাপেক্ষে কোন কর্মসূচী নেন। ইনশাআল্লাহ আমি অধমসহ এলাকার তৌহিদী জনতা আপনাদের পাশে থাকবে।
লেখক: হাফিজ এহসান উল্লাহ
(সীমান্তের আহ্বানের স্টাফ রিপোর্টার)
সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে বিহীত ব্যবস্থা নিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।