জৈন্তাপুরের ওসি শ্যামল বণিককে পুলিশ সুপারের পুরষ্কার প্রদান
1 min readমো:আব্দুল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধি সিলেট :: সিলেট জেলায় ফেব্রুয়ারি-২০২০ মাসের মাসিক কল্যাণ সভা ও ট্রেইন রিক্রুট কনস্টেবলদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সের বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ এসপি এম. শামসুল হক মিলনায়তনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোঃ মাহবুবুল আলম এর সঞ্চালনায় মাসিক কল্যাণ সভায় ২৬জন অফিসার-ফোর্সকে নগদ অর্থ পুরস্কার এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সভায় ফেব্রুয়ারি মাসের কর্মদক্ষতার অংশ হিসেবে জৈন্তাপুর উপজেলায় স্বার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক সেরা পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। এসময় সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিককে এই সম্মাননা প্রদান করেন। উল্লেখ্য উত্তর সিলেটের সীমান্তবর্তী পর্যটন উপজেলা জৈন্তাপুর সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ার সুবাদে এখানে সহজেই পাওয়া যায় মদ, ইয়াবা ও গাঁজা, ফেন্সিডিল, অস্ত্রসহ নানারকম মাদকদ্রব্য। তাই এই থানার দায়িত্বে যে অফিসার আসেন তাকে প্রথমেই একটু চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়। আর সেই চ্যালেঞ্জকে প্রতিহত করে এগিয়ে যাচ্ছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক। ইতিমধ্যে তিনি উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে শতাধিক অপরাধীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। আটককৃতদের মধ্যে মাদক, জুয়া, তীর খেলা, চুরি, ডাকাতি এবং গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত ও সাজাভূক্ত আসামী রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। জানা যায়, অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক জৈন্তাপুরে যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যায় থানার চিত্র। তার এ কর্মতৎপরতার জন্য জৈন্তাপুর উপজেলার অসহায়, সুবিদা বঞ্চিত, নির্যাতিত নিপিড়িত সাধারণ মানুষসহ সর্বমহল পঞ্চমুখে ভাসিয়ে দিচ্ছেন ওই ওসিকে।
উপজেলা সাধারণ মানুষের মতামত- জৈন্তাপুর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক আসার পর থেকেই জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। উনার (শ্যামল বণিক) মেধাবী নেতৃত্বে জৈন্তাপুরের সাধারণ মানুষ স্বস্থি ফিরে পেয়েছেন। অপরাধী যেই হোক, মুহুর্তেই সে পুলিশের খাচায় বন্দি হচ্ছে। তাছাড়া জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের প্রশংসা করে সচেতন মহল বলছেন, থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক ছাড়াও এখানকার ইন্সপেক্টও তদন্ত, সেকেন্ড অফিসার, এসআই, এএসআই’র মতো চৌকস পুলিশ অফিসার থাকার কারণে উপজেলায় অপরাধীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে যার কারণে তাদের কাছে কোন অপরাধীই ছাড় পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক বলেন, ইতিমধ্যে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমাদের সু-যোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয়ের লক্ষ্য হলো পুরো সিলেটকে মাদক, জুয়া, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষনসহ প্রতিটি অপরাধ দমন করা। এরই ধারাবাহিকতায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ নিরংকোশ দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা পেলে অচিরেই অপরাধমুক্ত, আলোকিত জৈন্তাপুর বিনির্মান করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, যারা মাদক সেবন অথবা বিক্রির কাজে জড়িত আছে তারা প্রত্যেকেই যদি শীঘ্রই পুলিশের কাছে এসে আত্ত্বসমর্পণ করে তাহলে তাদেরকে সমাজে ভালো হওয়ার জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। মাসিক কল্যাণ সভায় পাওয়া পুরস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষার সফলতা হিসেবে পাওয়া এ পূরস্কারের সাফল্যতা অর্জন আমার একার নয়, এ পাওয়া জৈন্তাপুর উপজেলাবাসীর। তা ছাড়া সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর সহযোগিতায় সুন্দর জৈন্তাপুর চাই, যেখানে কোন অপরাধীর স্থান নাই, নিরীহ-অসহায়দের হয়রানি নাই, দালাল-বাটপারের স্থান নাই, সকলের অব্যাহত সহযোগীতা চাই।