লতিফ ব্রিকস কর্তৃপক্ষের অসৌজন্যমূলক আচরণে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ; ভ্রাম্যমাণ আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা
1 min readঅতিথি প্রতিবেদক :: গতকাল ঐতিহাসিক ৭মার্চের দুপুরবেলা লতিফ ব্রিকস কর্তৃপক্ষের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে সচেতন মহল ও সাংবাদিক সমাজে উঠেছে নিন্দার ঝড়। জেলা প্রশাসক কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান প্রেরণের অনুরোধ জানিয়েছে সুশীলসমাজ।।
জানা গেছে গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারের পিছনে ধানক্ষেতের মাঝখানে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে গড়ে ওঠা লতিফ ব্রিকস এর জোরা ( দুটি) ভাটাসহ মোট ১০টি ভাটার উপর সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করছিলেন জেলার ছয়জন সাংবাদিক। অন্য ৪জন সাংবাদিক যখন অন্যান্য ভাটার উপর প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যস্ত, এ সময় জেলার বিতর্কিত ও বহুল সমালোচিত লতিফ ব্রিক্সের ছবি এবং তথ্য- উপাথ্য সংগ্রহ করছিলেন জেলার দু’ সাংবাদিক।
জেলার বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত লতিফ ব্রিকস এর ততোধিক বিতর্কিত ম্যানেজার এ সময় অতর্কিত ঐ দু সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে তাঁদের ক্যামেরা ও স্মার্টফোন কেড়ে নেয়। এছাড়া ঐ দু সাংবাদিককে তথ্য উপাথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত নোটবুক ছিঁড়ে পানিতে ফেলে দেয়। প্রকাশ্যে এ সব অশোভন আচরণ দেখে পথচলতি মানুষজন জরো হয়ে প্রতিবাদ করতে থাকলে ক্যামেরা মোবাইল ফেলে দিয়ে ম্যানেজার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা সুযোগ বুঝে সটকে পড়ে।
এ ঘটনা বিস্তারিত জেনে স্থানীয় একজন ডাকসাইটে নেতা ও উল্লেখিত ভাটা কর্তৃপক্ষের নিকটজনেরা বারবার করে ভাটাই ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। একইসাথে তারা উক্ত অবৈধ ভাটা দুটির বিষয়ে কোনো স্থানে কমপ্লেন না করা এবং সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।
এখানে উল্লেখ্য যে, ভাটা নির্মাণ ও ইট প্রস্তুত আইনের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সম্পূর্ণ তিন ফসলী ও ধানী জমির মাঝখানে এ ভাটা নির্মাণ করে তারা দেদারসে ভাটাই ইট পুড়িয়ে আসছে। এতে পার্শ্ববর্তী জমির কৃষকরা পোড়ামাটি ছাই ও অাগুনের কারণে স্বাভাবিক চাষাবাদ করতে পারছেনা। আর প্রতি সিজনে ঐ এলাকার সাধারণ গৃহস্থদের ভুলভাল বুঝিয়ে রেললাইনের নিকটবর্তী জমিসহ আবাদি জমির টপ সয়েল ( জমির উপরিভাগ) কেটে ভাটায় ইট তৈরি করছে। একইসাথে বিভন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বালি ও মাটি উত্তোলন করাই নিকটবর্তী ও পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা পড়েছে হুমকির মুখে।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে, এ ভাটা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক, সন্ত্রাস ও জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বেশ পুরনো। সম্প্রতি এ ভাটা মালিকের একটি ট্রাক ফেনসিডিল ভর্তি অবস্থায় পাচার করাকালীন সময়ে পুলিশ জব্দ করে। কোনোরকমের পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়রব্রিগেড কর্তৃক প্রদেয় সনদ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজ না থাকা সত্বেও এ ভাটা কিভাবে চলছে তা ক্ষতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ এবং ভ্রাম্যমাণ অাদালতের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।