মোদীর বিরুদ্ধে আন্দোলন ও আগামীর দিন কেমন হবে?
1 min read[এম,এবাদুর রহমান খান]
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরপশু নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রস্তুত টিকই। সরকার তাকে বানিয়েছে মুজিববর্ষ অনুষ্ঠানের মধ্যমনি, অতিথি আরেকটু সুন্দর ভাষা গেস্ট। তাউহিদি জনতা ও ইসলামী সমমনা দল জমিয়ত খেলাফত ইসলামি আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ডান বাম সংগঠন ঘোষণা দিয়েছে মোদীর আগমণ রুখতেই হবে। সবাই যখন হার্ড লাইনে তাহলে সামনের দিনগুলোতে কি হবে?
সামনের দিনগুলোতে কি হবে এখনো বলা যায় না। কট্টোর আওয়ামী ছাড়া সবাই যেহেতু এক কাতারে। তাই সরকার ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করবে বা করছে । যদিও পাগলের মতো আবুল তাবুল কিছু এমপি মন্ত্রীরা বলছেন অনেক কিছু। দমন পীড়ন এর পথে হাঁটবে না তা নয় তথাপি ম্যানেজ করার চেষ্টা হবে। কিছু পক্ষ ম্যানেজ হয়ে যাবে আর হয়ে গেলেও এই গণদাবি থেকে সবাইকে সরিয়ে ফেলা যাবে না। সবাই বিক্রিও হবে না, যেমন আল্লামা ক্বাসিমী আল্লামা ভাবুনগরী ফয়জুল করিম চরমুনাই আল্লামা মামুনুল হক সহ উলামায়ে কেরাম । আপোষহীন কিছু মানুষের নেতৃত্বে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ ।
এটা সত্য, যত আন্দোলনই হোক সরকার চাপের মুখে পরে দাওয়াত বাতিল করে দিবে এটা কখনোই হবে না। সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাকে আনার চেষ্টা করবে। তবে তাউহিদি জনতা যদি আন্দোলন অব্যাহত রাখতে পারে, পরিস্থিতি যদি উত্তাল হয়ে উঠে তাহলে মোদী নিজেই সফর বাতিল করতে পারে এটা স্বাভাবিক । সেটাই হবে চূড়ান্ত সফলতা।
সেটাও যদি না হয়, মোদী যদি এসেই পরে তাহলেই কি আন্দোলন ব্যর্থ? তবুও এই আন্দোলনকে আমি ব্যর্থ বলতে রাজি নই।কারন বিমানবন্দর অবরোধ করতে পারব কি মা জানিনা তবে আন্দোলন একটি বড় আকারে হবে।
ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ার অপরাধে যখন আবরার ফাহাদরা খুন হয়, তখন মোদীর বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ রাজপথে নামছে এটা কি সফলতা নয়?
মোদীর কাছে যখন পরিস্কার এই বার্তা পৌছে যায়, এদেশের জনগণ তাকে চায় না। সেটাই বা কম কি? এটা তো আমাদের সফলতা। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে সারা ভারতের মানুষ যখন জানতে পেরেছে, মোদীর আগমন ঠেকাতে আন্দোলন হচ্ছে, বাংলাদেশে এটাই তাদের গায়ে চপেটাঘাত শুরু করে দিয়েছে।
হুংকার ছেড়ে লাভ নাই, মোদি আসবেই। এসব বক্তব্য শুনে হতাশার কিছু নেই। মুসলিম নিযার্ততের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে স্বাধীনতার এই মাসে আমাদের কে আন্দোলন করতে হবে। শান্ত শিষ্ট আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবীতে কোন দাবি পুরা হয়নি।তাই হুংকার দিতে হবে উলামায়ে কেরাম স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছেন জিবন দিয়েছেন এটার বিনিময়ে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব জিহাদ করব অধিকার আদায় করব স্বাধীনতা রক্ষা করব। ইনশাআল্লাহ।
যাদের হুংকার দেয়ার সামর্থ আল্লাহ পাক দিয়েছেন, তারা হুংকার দিবেই। কেউ দাবায় রাখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।