করোনাভাইরাসের বলি হচ্ছে উইঘুর মুসলমান; জোর করে কাজ করাচ্ছে চীন
1 min read
Penindasan Muslim di Uyghur, Xinjiang, RRT
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে চীনের অর্থনৈতিক ব্যাপক ক্ষতির কথা দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসছে। এবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে দেশের হাজার হাজার উইঘুর মুসলমানকে জোর করে কারখানায় কাজ করানো হচ্ছে।
এর আগেও চীনে উইঘুর মুসলমানদের নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। লাখ লাখ উইঘুরকে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা আছে। ইসলাম পালন থেকে শুরু করে ধর্মীয় বিভিন্ন উপকরণ রাখতেও বিধিনিষেধ আরোপ করে চীনের কমিউনিস্ট সরকার।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) বলছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি উইঘুর মুসলমানকে শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে কারখানায় কাজ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগকেই আটককেন্দ্র থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এএসপিআই বলছে, জিনজিয়াং প্রদেশে সরকারিভাবে অসচ্ছলদেরকে সহায়তার নামে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করে উইঘুরদের কাজ দেওয়ার কথা বলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি যারা আটককেন্দ্রে আছেন, তাদেরকেও কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার নামে আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে চীন সরকার। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন সরকার ঘোষণা দেয়, কারিগরি ক্যাম্পে (আসলে আটককেন্দ্র) অনেকেই স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন।
কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে আটক হয়ে থাকতে চায় না উইঘুররা। সে কারণে বিভিন্ন কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হয় তারা। এমনকি করোনাভাইরাসের কারণে চীন যখন পুরোটাই প্রায় কোয়ারেনটাইনে রয়েছে, সেই সময়ও উইঘুর মুসলমানদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
এএসপিআই বলছে, চীনের নয়টি প্রদেশে মোট ২৭টি কারখানায় উইঘুর মুসলমানদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত পরিচিত ৮৩টি ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরি কাজ করছে উইঘুররা। নাইক, অ্যাপল, ডেল থেকে শুরু করে অন্যান্য নামকরা কম্পানি রয়েছে সেই তালিকায়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটছে সেখানে।
ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক নাইক-এর একটি কারখানায় যেতে পেরেছিলেন। ওই কারখানা একেবারে কারাগারের মতো। চারপাশে কাঁটাতার রয়েছে, ওয়াচ টাওয়ার, ক্যামেরা এবং পুলিশ স্টেশন রয়েছে।
উইঘুর এক নারীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন ওই সাংবাদিক। উইঘুর নারী বলেছেন, কারখানার ভেতর সব জায়গায় ঘুরে বেড়ানো যায়। কিন্তু কোনোভাবেই বাইরে বের হওয়া যায় না। আর তাদের কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি কাজ না করলে সেখানে নির্যাতনের কথাও বলে ওই মুসলিম নারী।