শায়খে বায়মপুরী
1 min read[বিলাল আহমদ তোয়াকুলী]
হৃদয়ের স্পন্দনে অমৃতের সুধা মানুষকে করাতেন পান,
তিনিই মুশাহিদ সোহাগের পুতুল, গাহি তাহারি গান।
দারিদ্র্যের কালো ছায়া সংসার জীবনে হৃদয়ে দিত দোলা,
মনে হইত তিনি ভাবিতে ভাবিতে হইলেন আত্মভোলা।
তাই কী সত্য?সে দিনকার ভাবনা, যা ভাবিতেন একা বসে,
মনের কুটিরে আঁকিতেন আলপনা মানুষকে ভালোবেসে।
সেকালে কেহ চিনিত না তাহাকে বলিত আরেও মুশাহিদ,
নিজের মতোই ভাবছো কি সদায় প্রতিদিনই ।
ভাবিত না কেহ সুপ্ত আগ্নেয়গিরি মুশাহিদের মন,
অনিয়মের বিরুদ্ধে দাউ দাউ করে জ্বলিবে সর্বক্ষণ।
অসহায় নির্যাতিত সর্ব হারা দুঃখী মানুষের তরে,
দিতেন সান্তনা, দিয়ে মন প্রাণ সারাটি জীবন ভরে।
নিঃস্বার্থ যিনি আজীবন শুধু দিলেন মুক্তির বাণী,
হৃদয়ের পদ্মাসনে বসিয়ে করি তাহাকে সম্মান আমি৷
প্রেরণার উৎস আঁধারে আলো জ্বালালেন প্রতি ঘরে,
শিকল ভাঙ্গার বাণী শিখালেন বন্দি কারাগারে।
মরিতে শিখেছে দামাল ছেলেরা ভাঙতে শিখেছে বাঁধ,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখতে শিখেছে মিলে হাতে হাত।
আনতে শিখালেন মুক্তির সূর্য আধাঁরকে ছিন্ন করে,
তাইতো মুশাহিদ উজ্জ্বল তারকা বাঙালির ঘরে ঘরে।
লেখক: বিলাল আহমদ রাসেল
(প্রতিনিধি- সীমান্তের আহ্বান)