বিশ্বের সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হার মানলো আফগান তালেবানের কাছে
1 min readনিজস্ব প্রতিনিধি।।
দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধের পর আজ কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও আমেরিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে কার্যত আফগান তালেবানের কাছে পরাজয় বরন করলো বিশ্বের সুপার পাওয়ার আমেরিকা।
আজ বাংলাদেশ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঐতিহাসিক এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আমেরিকার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জালমাই খালিলজাদ তালেবানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মোল্লা আবদুল গণী বেরাদর।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণী, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আল সানিসহ প্রমুখ বিশ্ব নেতারা।
পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের নেতারাও চুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অবশেষে বিশ্বের সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হার মানলো আফগান তালেবানের কাছে। দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধের পর আজ কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও আমেরিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে কার্যত আফগান তালেবানের কাছে পরাজয় বরণ করলো বিশ্বের সুপার পাওয়ার আমেরিকা।
আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঐতিহাসিক এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তালেবানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মোল্লা আবদুল গণী বেরাদর ও আমেরিকার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি জালমাই খালিলজাদ ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণী, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আল সানিসহ প্রমুখ বিশ্বনেতারা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুসহ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানসহ ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা নেতারা।

দোহা চুক্তির আওতায় আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহার হবে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে, যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তালেবানদের নিশ্চয়তা দিতে হবে যে আফগান মূল ভূখণ্ডটি আল-কায়েদাসহ অন্য সংগঠনগুলোর ব্যবহারের অনুমতি দেবে না।
আমেরিকা এবং আমেরিকা সমর্থিত আফগান সরকার কর্তৃক জারি করা একটি যৌথ বিবৃতি অনুসারে, মার্কিন বাহিনী আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সরে যাবে, এবং এই পরিকল্পনাটি তালেবানদের একটি শান্তিচুক্তির সাপেক্ষে হবে।
আমেরিকা ও আফগান তালেবানদের মধ্যে এই শান্তিচুক্তির পর আমেরিকা সমর্থিত আফগান সরকার ও আফগান তালেবানদের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে, যাকে আন্তঃ আফগান আলোচনার নামে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯/১১ এর কয়েক সপ্তাহ পরে আমেরিকা ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান আক্রমণ করে। এ আক্রমনে এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ২৪ হাজার এরও বেশি মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে, এবং ১২ হাজার এরও বেশি সেনা এখনো আফগানে রয়েছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরে আফগান যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যা বললেন তালেবান প্রতিনিধি মোল্লা আবদুল গণী বেরাদর
ঐতিহাসিক এই চুক্তি অনুষ্ঠানে তালেবান প্রতিনিধি মোল্লা আবদুল গণী বেরাদর বলেন, এই চুক্তি আফগান জাতি এবং বিশ্বের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, আমরা সবার সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক চাই। আমরা চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আমাদের প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।
মোল্লা বেরাদর বলেন, আফগান জাতি গত চার দশক ধরে ভুগছে। আমরা আশা করছি, আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের সাথে সাথে আফগান জাতি একটি নতুন এবং সমৃদ্ধ জীবনযাপন শুরু করবে।
তালেবানের এই নেতা আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সকলেই আমাদের জাতির একতা ও সমৃদ্ধি চাই। আমি আফগান দলগুলোকে আন্তরিকতার সাথে একটি শক্তিশালী ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমি এই শান্তিচুক্তিতে পাকিস্তানকে তাদের কাজ ও সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। চীন, উজবেকিস্তান, রাশিয়া, ইরান এবং অন্যান্য দেশ যারা, শান্তি প্রক্রিয়া সমর্থন করেছিল তাদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশা করি তারা আফগানিস্তান পুনর্নির্মাণে অংশ নেবে। আপনারা সবাই শান্তির জন্য দুআ করুন।
সূত্র : আল জাজিরা, জিও নিউজ