তুরাগে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ
1 min readস্টাফ রিপোর্টার :: ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হাসানের নেতৃত্বে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের গুরতর অভিযোগ পাওয়া গেছে । অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকাল ৩টার দিকে তুরাগের নলভোগ এলাকায় রাজা ও শফিউদ্দিন নামে দুই ডিস ব্যবসায়ীর দেওয়া সংযোগ লাইন জোরজবস্তি. কেটে দিয়ে নিজেদের লাইন সংযোগ দিতে যায় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হাসানের নেতৃত্বে ১৫-২০ টি মোটরসাইকেল যোগে ২৫/৩০ জনের একটি গ্রুপ । এসময় রাজা ও শফিউদ্দিন এবং আরিফ হাসানের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় । এক পর্যায় সেখানে উপস্থিত হন এলাকার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক মেম্বর কফিল উদ্দিন এবং তার ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া । এসময় তারা উভয় পক্ষকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন, তাদের অনুরোধে রাজা ও শফিউদ্দিন শান্ত হলেও আরিফের লোকজন শান্ত না হয়ে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন । অবস্থা বে- গতি দেখে রাজা ও শফিউদ্দিন গিয়ে আশ্রয় নেয় পাশেই থাকা মোঃ সেলিম মিয়ার রড সিমেন্টের দোকানে । তখন কফিল উদ্দিন ও তার ছেলে মোঃ সেলিম মিয়ার বাধাকে উপেক্ষা করে আরিফের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয় রাজা ও শফিউদ্দিনের উপর । এ সময় দোকানের অফিস রুমে টাঙ্গানো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা হয় এবং হামলা শেষে যাওয়ার সময় দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ড্রয়ারে থাকা নগদ ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবসায়ীক খাতাপত্র সহ বিভিন্ন কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায় হামলা কারীরা । ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় এবং দোকান মালিক মোঃ সেলিম মিয়া তুরাগ থানায় উপস্থিথ হয়ে, ১/ আরিফ হাসান ( ৩৫ ), ২/ মোঃ ফরহাদ (২৬), ৩/ মোঃ দেলোয়ার ( ২৭), ৪/ সুলতান ( ২৬ ), ৫/ বাদল ( ২৭ ) সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এই অভিযোগের পর ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হাসানের পক্ষে জৈনক রহিম বাদশা বাদি হয়ে দোকান মালিক সেলিম মিয়া গংদের বিরুদ্ধে একটি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন । এই দুটি অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার এস আই মোহাইমিনুর রহমানকে । এই বিষয় জানতে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোহাইমিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপরোক্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে, ব্যাপারটি আরও গভীর ভাবে তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । অভিযোগের বিষয়ে জানতে তুরাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আরিফ হাসানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।