গোয়াইনঘাটের ভাদেশ্বর তাফসির মাহফিলে কি হয়েছিল?
1 min readএহসান উল্লাহ (স্টাফ রিপোর্টার)
গোয়াইনঘাট উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ভাদেশ্বর গ্রামবাসীর উদ্যেগে ছিল তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। পোস্টারে প্রধান অতিথির নাম ছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব কারা নির্যাতিত মজলুম জননেতা আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী হাফিজাহুল্লাহ’র।
তাফসির মাহফিলের আগের দিন পর্যন্ত উনি অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ছিলেন। আমরা সবাই প্রায় নিশ্চিত উনি অসুস্থতার ধরুণ আসতে পারবেন না। আগের দিন মাইকিংয়ে বলেছেন, হুজুর বাদ যুহর বয়ান করবেন। তারপর মাহফিলের দিন আসরের সময় ঘোষণা করেছেন, বাবুনগরি হুজুরের পরিবর্তে মামুনুল হক সাহেব আসবেন। এমনকি তারা শ্রোতাদেরকে নিশ্চিন্ত করার জন্য বলেছেন, মামুনুল হক সাহেবকে রিসিভ করতে আমাদের এখান থেকে লোক পাঠানো হয়েছে, হুজুর এশার পূর্ব পর্যন্ত চলে আসবেন আর এশার পর বয়ান করবেন। আমরা রাত রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে আসলাম।
তারপর মুফতি নোমান ক্বাসেমী সাহেবের সাথে হাদিয়া নিয়ে গ্যাঞ্জাম করে প্রকাশ্যে মাইকে গিয়ে উনার সামনে উনাকে মিথ্যুক, কায্যাব ইত্যাদি খুব নোংরা ভাষায় গালাগালি করেছে কর্তৃপক্ষ। উনাদের ভাষ্য হলো, আমরা সব বক্তাদের হাদিয়ার টাকা বাবুনগরী হুজুরের কাছে দিয়েছি। আপনারা উনার কাছ থেকে নিবেন। ক্বাসেমী সাহেব বললেন, আমাকে শুধু ঢাকা থেকে আপনাদের এখানে আসতে যতো টাকা খরচ হয়েছে সেটুকুই দিয়ে দেন, আর লাগবেনা। তখন কর্তৃপক্ষ উনার সাথে খুব খারাপ আচরণ করেছে। স্হানীয় লোকদের মুখে শুনতে পেলাম, যে ব্যক্তি নুমান কাসিমির সাথে খারাপ আচরণ করেছে সে নাকি জামাত পন্থি, তাই কওমি আলেমদেরকে দাওয়াত দিয়ে এনে এভাবে অপমান করেছে। নুমান কাসিমী কে প্রকাশ্যে গালি দেয়ায় স্হানীয় এক আলিম তার প্রতিবাদ করায় তাকে সেই জামাত পন্থি লাথি মারার হুমকি ধমকি দেয় এবং নুমান কাসিমি ও স্হানীয় ওই আলিমের উপর চরাও হয় তাদের গায়ে হাত তোলার জন্য। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে আটকায়।
অতএব, আমি একজন নগন্য মানুষ হিসেবে আমাদের উপজেলার আলেম উলামা, তাওহীদি জনতার নিকট আকুল আবেদন করছি।
আপনারা সবাই মিলে এ বিষয়টি দেখুন। কেননা উনাদের (এক গ্রামের) কারণে পুরো উপজেলা কলঙ্কিত হবে এটা আমরা চাই না।