নবীগঞ্জে ২ শিক্ষকের বদলিতে কোমলমতি শিশুরা আবেগাপ্লুত
1 min readকান্নার রুল নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল
হবীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
নবীগঞ্জে প্রাইমারী স্কুলের ২ শিক্ষকের বদলিতে বিদায় জানাতে কোমলমতি শিশুরা আবেগাপ্লুত। স্যারকে জড়িয়ে ধরে শিশুদের কান্নার রুল নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল। নবীগঞ্জে এই প্রথম বিরল ঘটনা এটি। অনুসন্ধানে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষকের বদলি হয় অন্য আরেকটি স্কুলে। শিক্ষকরা হলেন, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইউসুবপুর গ্রামের শ্রীবাস সুত্রধর এবং বড় ভাকৈড় ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের সুমেশ দাশ। শ্রীবাস সুত্রধর বদলি হয়েছেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সুমেশ দাশ বদলি হয়েছেন আমড়াখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিকে ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বিদায় জানাতে গত রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই স্কুলের শিক্ষক শ্রীবাস সুত্রধর ও সুমেশ দাশ কে দেখে কোমলমতি শিশুরা স্যারদের জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এই কান্নার ভিডিও এখন পুরো নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল। কোমলমতি শিশু কিশোরদের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন বিদায়ী শিক্ষক শ্রীবাস সুত্রধর ও সুমেশ দাশ। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, শ্রীবাস সুত্রধর ও সুমেশ দাশ ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। শিশুদের কান্না দেখে ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ ঘটিকায় কেঁদেছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাসহ স্টাফরা। অন্যান্য শিক্ষকরা বলছেন শিশুদের এমন ভালবাসা এই সমাজে বিরল হয়ে থাকবে। স্যারদের প্রতি (ছাত্রত্রছাত্রী)তাদের ভালবাসা দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়ে থাকবে এই স্কুলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে লিখছেন, একজন শিক্ষকের জীবনে এর চেয়ে বড় আর কিছু পাওয়ার নেই। সালাম জানাই এমন শিক্ষকদের। ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিত। স্যারদের জড়িয়ে ধরে কান্নার ভিডিও টি নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন এই দুই শিক্ষক। এব্যাপারে ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অবিভাবক সমিতির সভাপতি আশাহিদ আলী আশা বলেন, শিক্ষক ও কোমলমতি শিশু কিশোরদের ভালবাসা দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। শিক্ষার্থীদের সাথে প্রত্যেক শিক্ষকদের সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিত। স্যারদের প্রতি শিক্ষার্থীদের আবেগাপ্লুত ভালবাসা দেখে শিক্ষক ও অবিভাবক সমিতির সভাপতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান আবার ও তাদের এই স্কুলে বহাল রাখার।