শতবছরের দিগন্তে ছড়িয়ে যাওয়া সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
1 min readমুহাম্মাদ মাহদী হাসান :: শতবছরের প্রাচীনতম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই কাফেলা হাটি-হাটি,পা-পা করে ২০১৯ সাল পেরিয়ে ঐতিহ্যের শতবছর পূর্ণ করেছে। বাংলা থেকে বৃটেন হিন্দুস্থান থেকে পাকিস্থান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়া এই সংগঠন দ্বীন ও জাতির তরে রেখেছে অবিস্মরনীয় অবদান।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশীয় ও ধর্মীয় আন্দোলনে সদাই অগ্রনেতৃত্বের ভূমিকা দিয়েছে। ইসলামী রাজনীতির সূচধারা থেকে বেফাক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা সহ ইতিহাস ঐতিহ্যে রেখেছে বাঙ্গালি মুসলিমদের বৃহৎ কৃতিত্ব। শিক্ষা মসনদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ মসনদ পর্যন্ত রয়েছে যার পদচারণ।
সোনালী শতবছরে ভারতেবর্ষে একক শক্তিতে হিন্দুস্থানী মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম জমিয়তে উলামা রয়েছে জাতীয় ও রাজনীতিতে বৃহৎ শক্তিতে। পাকিস্থানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম রাজনীতিতে বিরোধী দলসমূহের নেতৃত্ব দিয়ে বিগত কয়েক বছর আগে বিশ্বে স্মরণীয় রেকর্ড করে শতবছর উদযাপন করেছে। বিগত কয়েক মাস পূর্বে বৃটেন জমিয়তও শতবছরে নজর কেড়েছে ইউরোপ কান্ট্রিতে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশও বিগত সিলেট বিভাগীয় সম্মেলনে সিলেটে ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন ইতিহাসের সূচনা করে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী২০২০ইং রাজধানীর জাতীয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কর্মী সম্মেলন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে ব্যাপক প্রচারণা। ইতিমধ্যে দেশের প্রায় সব জেলা ও বিভাগে কর্মী সম্মেলন সফলে মতবিনিময় করেছেন জমিয়ত নেতৃবৃন্দ। তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিশ্বাস সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশ বাংলাদেশের ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন ইতিহাস সূচনা করবে(ইনশা আল্লাহ)।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য কর্মী সম্মেলনের শতভাগ সফলতা কামনা করি।
লেখক:মুহাম্মাদ মাহদী হাসান
জমিয়ত কর্মী,সাংবাদিক ও তরুণ লেখক।