কর্মি সম্মেলন সর্বাত্মক সফলে নেতা কর্মিদের প্রতি কাজ করে যাওয়ার আহবান জমিয়ত মহাসচিবের
1 min read
এম,এবাদুর রহমান খান।।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, দেশে সৎ নেতৃত্বের মাধ্যমে সর্বস্তরে সুশাসন, ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামী হুকুমতের বিকল্প নেই। আর এজন্য রাজনীতিতে সৎ, দক্ষ ও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে উলামায়ে কেরামকে ইসলামী আদর্শের প্রতি সর্বোচ্চ ভালবাসা, আনুগত্য ও আত্মত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম হক্কানী ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল। এই দলের লক্ষ্যই হচ্ছে, সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করে ন্যায়, ইনসাফ, সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এই লক্ষ্যেই জমিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দ্বীনি কাজে নানা প্রতিবন্ধকতা, সংকট আসতে পারেই। সতর্কতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে উদ্ভুত প্রতিবন্ধকতাকে এড়িয়ে সম্মুখপানে অগ্রসর হওয়া প্রকৃত নেতাদের কাজ। সুতরাং সংগঠনের কাজে দলীয় নেতা কর্মীদেরকে আদর্শিক আনুগত্যে দৃঢ়তা ও ত্যাগী মানসিকতা নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে গভীর মনোযোগী হতে হবে।
জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা কাসেমী দলের আসন্ন কেন্দ্রীয় কর্মী সম্মেলনকে সর্বাত্মক সফল করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি তৃণমূল থেকে ব্যাপক গণসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজ দ্রুত সম্পন্নের আহবান জানান।
তিনি বলেন, সময় আর মাত্র কয় দিন বাকী আছে। এর মধ্যেই গণসংযোগ শেষ করে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য পরিবহণসহ সকল প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকলকে রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যোগদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব ধরনে ত্যাগ কোরবানীর জন্য দলের সকল নেতাকর্মীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কর্মী সম্মেলনে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দিক-নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিবেন, কাজের রোড ম্যাপ দিবেন। সেই আলোকে কাজ করে জমিয়তকে লক্ষ্যপানে এগিয়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে,
তিনি বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম আমাদের পূর্ববতী দেওবন্দী বুযূর্গ আলেমদের রেখে যাওয়া আমানত। এই আমানত রক্ষায় আমাদের সকলকে আন্তরিক মনোযোগী হতে হবে।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী গতকাল (৮ ফেব্রুয়ারী) শনিবার টাঙ্গাইলে ধুলেরচর মাদ্রাসায় স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি উলামায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে উলামায়ে কেরামের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে, ব্যাপক জন-সম্পৃক্ততাকে ভেঙ্গে দিতে, মানুষের আস্থা নষ্ট করতে এবং নানা গ্রুপিং এ শামিল করে লক্ষ্যচ্যুত করতে।
তিনি বলেন, আপনাদের সকলকে এসব ষড়যন্ত্র অত্যন্ত সতর্কতা, বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্যের সাথে পাশ কাটিয়ে সম্মুখপানে এগিয়ে যেতে হবে। উলামায়ে কেরামকে সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকহারে সম্পৃক্ত হতে হবে। ঈমান-আক্বিদা, হালাল-হারাম, নামায-রোযা, সৎ জীবন যাপনের পাশাপাশি মানবিক, সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয় নিয়েও কাজ করতে হবে।
আল্লামা কাসেমী বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধানের নাম। জীবনের সকল স্তরে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সেই আলোকেই সব বিষয়ের ন্যায়নিষ্ঠতা ও শৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করতে হবে।