ওমর হোসেন কর্তৃক গরু চুরির ঘটনায় ইনাতগঞ্জ এলাকা তোলপাড়
1 min readহবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইছুবপুর গ্রামের তৈমুছ উল্লাহর পুত্র ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আজিজুর রহমান আরজু ও ইনাতগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মৃত আলকাব হোসেনের পুত্র অমর হোসেন কর্তৃক দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল মতিন, হাফিজ নজরুল ইসলাম ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের আলাউর রহমানের ৬টি গরু চুরির ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় চলছে।
এলাবাসী সূত্রে জানাযায়, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ১টি ডেকা গরু ও ১টা গাভী চুরি হয়। ওই রাতে একই গ্রামের হাফিজ নজরুল ইসলামের ১টি গাভী চুরি হয়। একই রাতে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের আলাউর রহমানের ২টি ডেকা গরু ও ১টি গাভী চুরি হয়। গরু চুরির ঘটনার পর গরুর মালিকগন আশপাশের বিভিন্ন বাজারে তাদের গরুর খোঁজে বের হন। গত ২২ জানুয়ারী বুধবার মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল মতিন বাহুবল উপজেলার মীরপুর গরু বাজারে যান। সেখানে তিনি তার নিজের একটি ডেকা ও ইনাতগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এরালিয়া গ্রামের আরো ২টি গরুসহ মোট ৩টি গরু পেয়ে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আজিজুর রহমান আরজু ও ইনাতগঞ্জ বাজারের মৃত আলকাব হোসেনের পুত্র অমর হোসেন ও তার কর্মচারী জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কামরাখাই গ্রামের হাকিম উল্লাহর পুত্র নুরুল আমীনকে আটক করেন। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ওয়ার্ড মেম্বার ফকরুল ইসলাম, হাফিজ নজরুল ইসলামসহ ৪ জন। সেখান থেকে গরুসহ তাদেরকে নিয়ে এলাকায় ফিরে আসার পথে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ ফোন দিয়ে শালিষে ঘটনার মীমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিলে পথিমধ্যে আরজু মেম্বার ও অমর হোসেনকে ছেড়ে দিয়ে নুরুল আমীনকে সাথে নিয়ে গরুসহ বাড়ি ফিরে আসেন। কথামতো ২৩ জানুয়ারী বিকেলে চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ আরজু মেম্বারকে নিয়ে মথুরাপুর যান ফকরুল মেম্বারের বাড়িতে। কথা চলাকালে আরজু মেম্বার ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। ২ দিন আটক থাকার পর ২টি গরু ফেরৎ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে নুরুল আমীনকে তার গ্রামের ব্যবসায়ী মনিরুলসহ আরো ৪ জন তাদের জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ৭দিন পর গরু ফেরৎ দেয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো গরু ফেরৎ দেয়নি তারা।
ঘটনার সাথে ইনাতগঞ্জের মানুষ জরিত থাকার কারনে ইনাতগঞ্জের মানুষ কে অবগত করার জন্য ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ আহমেদ জিহাদি, ইনাতগঞ্জ বাজার সমিতির সভাপতি দিলবার হোসেন, আলাল মিয়া, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক রাকিল হোসেন, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আশাহীদ আলী আশা, জাকির হোসেন, মিনার উদ্দিন, সহ এলাকার বিশিষ্ট জনের কাছে বিষয় টি তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ইনাতগঞ্জ বাজারের আলকাব হোসেনের পুত্র অমর হোসেনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে তার মা দিলারা বেগম গরু চুরির মামলা দায়ের করেছিলেন। এছাড়া আরজু মেম্বার চোরাই গরুর রশিদ দিয়ে চুরির কাজে সহযোগিতা করে থাকেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গরু ফেরৎ না দেয়ায় এ ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় চলছে।